খৃষ্টান মিশনারী অপতৎপরতাঃ আমাদের করণীয়
রদ্দে ঈসায়িয়্যাতের কর্মপন্থা
মাওলানা জুবায়ের আহমাদ
কর্মপদ্ধতি কী হবে?
আমরা মনে করি যে, ফেতনা দূরিকরণে পদ্ধতি হল ধর, মার, কাট ইত্যাদি। কিন্তু এর মাধ্যমে ফেতনা দূর হওয়ার পরিবর্তে আরো বেড়ে যায়। বরং এর সঠিক পদ্ধতি হল ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে তা দূর করার চেষ্টা করা।
রদ্দে ঈসায়িয়্যাত কেন করবো?
কারণ খৃষ্টানরা বিভিন্নভাবে আমাদের ক্ষতি সাধন করছে। যেমন-
১-রাষ্ট্রীয়ভাবে।
২-সামাজিকভাবে।
৩-ধর্মীয়ভাবে।
৪-পারিবারিকভাবে।
৫-আর্থিকভাবে।
রাষ্ট্রীয়ভাবেঃ
যেকোন রাষ্ট্র ধ্বংস করতে তারা দুই ধরণের লোক পাঠায়। যথা-
১- ওরিয়েন্টালিষ্ট বা প্রাচ্যবিদ্যাবিদ। যাদের কাজ হল-
ক) দেশে উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি, সরকারী আমলা, মন্ত্রী ও এমপিদের মগজ ধোলাই করতে অর্থায়ান করা। যাতে ইসলাম বিরোধী যেকোন সংবিধান প্রণয়ন করতে কোন বেগ পেতে না হয়।
খ) লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামের মতবিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো সাধারণ মুসলমানদের সামনে তুলে ধরা। এর মাধ্যমে ইসলামের ব্যাপারে মানুষকে আস্থাহীন ও সন্দিহান করে তোলা।
গ) মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের লোক ঢুকানো।
ঘ) সরকারী মহলে খৃষ্টান নারীদের অনুপ্রবেশ ঘটানো।
২- খৃষ্টান মিশনারী।
এদের কাজ হল নিম্ন শ্রেণীর লোকদের তাদের দারিদ্রতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করা।
সামাজিকভাবেঃ
প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যাচার চালিয়ে আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। যা সাধারণ মুসলমানদের গোমরাহ হওয়ার অন্যতম কারণ।
পারিবারিক ও আর্থিকভাবেঃ
উচ্চহারে সুদের ভিত্তিতে প্রতিটি পরিবারে তাদের ঋণ পৌছানো হচ্ছে।
ধর্মীয়ভাবেঃ
আজ ধর্মীয় কোন প্রোগ্রাম করতে হলে সরকারের অনুমতি লাগে। শুধু মৌখিকভাবে নয় লিখিতভাবে। সেই সাথে থাকে গোয়েন্দা নজরদারী। পক্ষান্তরে বিধর্মীদের কোন প্রোগ্রাম গোয়েন্দাদের কোন তৎপরতা দেখা যায় না।
প্রতিকারসমূহঃ
১- ভবিষ্যত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, মেম্বার , এমপি ও মাতবরদের সাথে তৈরী করা। তাদের ধর্মের দীক্ষা দেয়া। অন্যথায় এসকল লোকেরাই আমাদের হয়রানী করবে ও ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
২- পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা। সেই সাথে পাঠাগারের উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ লক্ষ্যে এলাকার প্রভাবশালীদের পাঠাগারের উপদেষ্টা বানিয়ে দেওয়া। এদের নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৩- গ্রামে গ্রামে মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।
৪- স্কুল প্রতিষ্ঠা করে মাদরাসার আঙ্গিকে পরিচালনা করা।
৫- স্কুলের কর্তৃপক্ষদের সাথে যোগাযোগ করে বিনা বেতনে কুরআন শিক্ষা দেয়া।
৬- ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করা। সেই সাথে এসব প্রতিষ্ঠানে ধার্মিক লোকদের ঢুকানোর চেষ্টা করা।
ধর্মীয় কাজে সফলতার জন্য যা প্রয়োজন
১- এখলাস।
২- পরিকল্পনা
৩- অবিচলতা।
ধর্মীয় কাজে আমাদের ভুলসমূহঃ
১- পরিকল্পনাহীনতা।
২- উদ্দেশ্যহীনতা।
৩- অন্য কোন দ্বীনী খিদমাতকে মূল্যায়ন না করা।
৪- আত্মমনোবলহীনতা ও প্রতিপক্ষের অর্থভান্ডারকে বড় মনে করা।
৫- আত্মপ্রচারমুখীতা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের এসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে সঠিক পদ্ধতিতে দ্বীন প্রচারের কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
সুন্দর
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
maulana jubaer baike jajakallah
arekta poddhoti……..>> Allahr rastai beshi beshi tablig jamat pathano.