যার নামে এই জামিয়া – হায়াতে ফিদায়ে মিল্লাত
নাম: হযরত মাওলানা সায়্যিদ আসআদ মাদানী রহ.
উপাধি: ফিদায়ে মিল্লাত (জাতির জন্য উৎসর্গিত)
বংশ: সায়্যিদ (নবী স. এর বংশধর)
জন্ম: এই আধ্যাত্মিক মহান পুরুষ ৬ জিলক্বদ ১৩৪৬ হিজরী মোতাবেক ১৯২৮ সালের ২৭ এপ্রিল শুক্রবার সায়্যিদ খান্দানের ঐতিহ্যবাহী এক সুফী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের মুরাদাবাদ জেলার বিসরাও নামক স্থানে নিজ মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর আধ্যাত্মিকতা ও রূহানিয়্যাতের সর্গধাম ঐতিহাসিক দেওবন্দের পবিত্রতম আলো-হাওয়া সিক্ত মাদানী মঞ্জিলের নূরানী পরিবেশে তিনি লালিত পালিত হন।
তাঁর সম্মানিত পিতা ছিলেন উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান সিপাহসালার, বীর মুজাহিদ, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম মুহাদ্দিস, শায়খুল আরব ওয়াল আজম , কুতুবুল আলম , শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী কাদ্দাসাল্লাহু সিররাহুল আযীয।
শৈশবের ঘটনা ও মায়ের দোয়া: হযরত ফিদায়ে মিল্লাত রহ.তখন মাত্র ছয়-সাত বৎসরের শিশু ছিলেন। একদিন সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে সিগারটের ফেলে দেওয়া অংশ খেলাচ্ছলে হাতে নিয়েছিলেন। ফলে তার হাতে সিগারেটের গন্ধ লেগে যায়। বাড়িতে ফিরে যখন মা সিগারেটের গন্ধ পান, তখন ছেলে সিগারেট খেয়েছেন বলে মনে করে তাঁকে খুব বকাঝকা ও প্রহার করেন। পরে নিজেই ক্রন্দনরত অবস্থায় ছেলেকে আদর করে কোলে তুলে নেন তিনি। আর হাত তুলে দোয়া করেন, “হে আল্লাহ! আমার এই সন্তান যদি তার পিতার সঠিক উত্তরাধিকারী হতে পারে, তাহলে তাকে জীবিত রাখ। অন্যথায় তুমি তাকে তুলে নাও”।
হযরতের পরবর্তী জীবনে মায়ের এই দোয়ার প্রতিফলন আমরা দেখেছি তাঁর জীবনের বাঁকে বাঁকে। মায়ের অন্তরের দোয়া তাঁকে পৌছে দিয়েছিল সফলতা ও কবুলিয়্যাতের চূড়ায়। আর পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি হয়েছেন তাঁর যোগ্য জানেশীন।
ওফাত: এই মহান ব্যক্তিত্ব ৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ আমাদের ছেড়ে মহান আল্লাহ তাআলার ডাকে সাড়া দেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তার কীর্তিময় বর্ণাঢ্য জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করার তাওফীক দিন। আমীন।