ওলামায়ে কিরামের অবদানেই দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ এতটা বেগবান – মুফতী নজরুল ইসলাম
(অতিথি বক্তা, মুহতামিম সালামবাগ মাদরাসা, ঢাকা)
نحمده و نصلى على رسوله الكريم .. اما بعد ..
উপস্থিত ওলামায়ে কিরাম ও আযীয ত্বলাবা!
প্রথমেই আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া জানাচ্ছি, এ মহতী মাহফিলে উপস্থিত হবার তাওফীক দেওয়ার জন্য। আমি দুটি বিষয়ে কথা বলতে চাই। একটি হলো, এ বাড়ীর তত্ত্বাবধায়ক জনাব মুহিউদ্দীন সাহেবকে ধন্যবাদ ও শুকরিয়া জানাই- এ মাদরাসার প্রতি তার অকৃত্রিম সহযোগিতার জন্য। তিনি আমার সাথে হজ্জ্বে গিয়েছেন। মাদরাসার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে তার সাথে কথা বললে তিনি স্বতস্ফূর্ত ভাবে তাতে সাড়া দেন। আমি তার দীর্ঘায়ু কামানা করছি। এবং দোয়া করছি। আল্লাহ তাআলা যেন তার এই সহযোগিতা তার জন্য নাজাতের কারণ বানিয়ে দেন। আমীন।
আর দ্বিতীয় কথাটি হলো, ইলমের সাথে আমলের সন্নিবেশন করতে হবে। আমি আমার শ্রদ্ধাভাজন উস্তাযের মুখ থেকে শুনেছি, ইলম অন্বেষণ শেষ করার পর প্রতিটি ছাত্রকে আত্মশুদ্ধির মেহনতা করা অত্যাবশ্যক। এছাড়া আমলী যিন্দেগী পূর্ণাঙ্গ হয় না। আর এটা অর্জিত হবে দুই ভাবে। এক, ফারেগ হওয়ার পর কোনো খাঁটি কামেল পীরের মুরীদ হয়ে আত্মশুদ্ধির মেহনত করা। এবং দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করা।
ইলম অন্বেষী ছাত্রদের প্রতি আমার অনুরোধ, তোমরা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে নিজেদের নিযুক্ত করো। দরস ও তাদরীস এর মাঝে যখন তোমরা ছুটি পাও, তখন তাবলীগের কাজে নিজেকে সংযুক্ত করো। নিজের পড়াশোনা নষ্ট করে নয়। আর তাবলীগের কাজ তো ওলামায়ে কিরামের কাজ। আর এই কাজ শুরু করেছিলেন আমাদের আকাবিররাই। আর ওলামায়ে কিরামের সহযোগিতার ফলেই এই কাজ আজও বেগবান। আলেমদের সহযোগিতা না হলে এ কাজ বন্ধ হয়ে যেত। ওলামায়ে কিরাম দরস ও তাদরীসের কারণে সময় পান না বলে সাধারণ মানুষ এতে সংযুক্ত হচ্ছে বেশি বেশি। তার পরও ওলামাদের দ্বারাই এ কাজ এখনও পরিচালিত হচ্ছে। তাবলীগের পদ্ধতির উদ্ভাবক শায়খ ইলিয়াস রহ. বলেছেন, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত এ কাজের কোনো জামাতের ক্ষেত্রে মনে শান্তি পাব না, যত্ক্ষণ না একটি জামাতে তিনজন আলেম থাকবেন। একজন সামনে, একজন মাঝে এবং একজন পেছনে। সুতরাং, এ কাজে আমরা সুযোগ পেলেই বেশি বেশি শরীক হই। ঈমানহারা কালিমা ভোলা মানুষকে দ্বীনের পথে আনার প্রচেষ্টা চালাই। এমন অনেক বৃদ্ধ মানুষ আছে যারা গোসলের ফরয কয়টা তাও জানে না।
সুতরাং, তার নামায ও ইবাদতের কী হাল, চিন্তা করেন। তাই, ছাত্রদের প্রতি আমার আহবান, এ কাজে নিজেকে জড়াও। আর সামনে ইজতিমায় সবাই শরীক হই। আর সবাই দোয়া করি, আমাদের মা-বোনদেরকেও ইজতিমার কামিয়াবীর জন্য দোয়া করতে বলি।
জাঝাকাল্লাহ খাইর।