ইলমের ক্ষেত্রে গভীরতা অর্জন করতে হবে – মাওলানা ইয়াহইয়া জাহাঙ্গীর
(অতিথি বক্তা, হাজীপাড়া, ঢাকা)
نحمده و نصلى على رسوله الكريم .. اما بعد ..
উপস্থিত ওলামায়ে কিরাম ও মুরুব্বিয়ানে কিরাম এবং আমার আযীয ত্বলাবা! সময় তো অনেক হয়েছে। অনেক কিছুই বলার ছিল। কিন্তু সময় সংকীর্ণতার দরুন একটি কথাই বলি। দ্বীনের ফাক্বাহাত অর্জন করা এটা আল্লাহ তায়ালার একটি বড় নিয়ামত। আর এই জন্য প্রধান শর্ত হলো, ইলমের ক্ষেত্রে গভীরতা থাকতে হবে। গভীরতা ছাড়া ফাকাহাত অর্জিত হবে না। যেমন আমাদের আকাবিরদের ছিল। আমি ইলমের গভীরতার একটি ঘটনা বলেই আমার বক্তব্য শেষ করছি।
ইমাম আবু হানিফা রহ. এর উস্তায –সুলায়মান আল আ’মাশকে – আ’মাশ (অন্ধ) বলা হত তার চোখে সমস্যা থাকার কারণে। আর তার একজন প্রিয়ভাজন ছাত্র ছিলেন, তিনি ছিলেন লেংড়া। ছাত্রটি আমাশ রহ. এর সাথে সবসময় থাকতেন। এ দৃশ্য দেখে বাজারের লোকেরা তাকে খেপাতো। বলত, শিক্ষক অন্ধ আর শিক্ষার্থী লেংড়া। তখন আমাশ রহ. তার ছাত্রকে বললেন, তুমি আমার সাথে বাজারে যেও না। গেলে লোকেরা আমাদের খেপাবে। ছাত্র বললেন, তাতে কী!? আমাদের খেপালে তাদের গুনাহ হবে, কিন্তু আমরা তো সওয়াব পেতে থাকব। যেমন রাসূল স. বলেছেন কাউকে কথার দ্বারা কষ্ট দিলে যাকে দেয়া হয় সে সওয়াব পায়। যদিও কষ্টদাতা গুনাহগার হয়। এ কথার জবাবে আমাশ রহ. বললেন, আমরা গুনাহ থেকে বাঁচি এবং লোকদেরকেও গুনাহ থেকে বাঁচাই। সুবহানাল্লাহ!
বাজারে গেলে লোকেরা নিন্দা করে গুনাহগার হবে –এ থেকে তাদেরকে বাঁচানোর জন্য ছাত্রকে না নেয়ার সিদ্ধান্ত! এটাকেই বলে ইলমী গভীরতা।
এই গভীরতা তোমাদের অর্জন করতে হবে। শুধু সনদধারী হলে হবে না। পূর্ণ প্রাজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।