মুমিন এবং মুমিনের জীবন
সায়্যিদ আসআদ মাদানী রহঃ ১৯২৮-২০০৬ ইং
ইসলামের প্রাণকেন্দ্র:
ভাইয়েরা আমার! দ্বীনি প্রতিষ্ঠান , দ্বীনি মাদরাসাগুলো হলো ইসলামের কেন্দ্র। আর আমরা হলাম মুসলমান। সুতরাং যারা এসব কেন্দ্রের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য কাজ করছেন তাদেরকে যদি আমরা নিজেদের লোক ধারনা না করি তাহলে কাকে আমরা নিজেদের লোক বলবো? যে সব কেন্দ্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিশন ও চেতনার প্রচার প্রসারে নিমগ্ন, সেই সব কেন্দ্রের প্রতি উপেক্ষার দৃষ্টি ও তাকে গুরত্বহীন মনে করা আমাদের দূর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে। বরকত ও কল্যানের অনন্য উৎস এ সকল দ্বীনি মারকাযের গুরুত্ব অপারিসীম। এগুলোর খেদমত করা প্রতিটি মুসলমানের পবিত্র দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে এই সকল মাদরাসা-মুসলমানের বদৌলতেই ইসলামের অস্তিত্ব টিকে আছে। আল্লাহ তাআলা এই মাদরাসাগুলোকে ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতির মাধ্যম বানিয়েছেন। জেনে রাখবেন, সরকারী আনুকূল্যে বিভিন্ন শ্রেণির বিদ্যা-পাঠ করা দ্বারা শানদার জমকালো ইমারত গড়ে ওঠলেও কিন্তু হৃদয়ের প্রশন্তি এই মাদরাসা থেকেই হাসিল হয়।
মাওলানা সাইয়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানী রহ: বলেছেন, “এসব মাদরাসা দিয়ে যে কাজ হয় অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা তা হওয়া সম্ভব না। বস্তুত ইসলাম এমন লোক দ্বারা প্রচারিত হয়েছে যাদের মাঝে ইখলাস-লিল্লাহিয়াত ও তাআল্লুক মায়াল্লাহ তথা নিষ্ঠা ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান ছিল।”
খাজা মঈন্দ্দুীন চিশতী রহঃ (৬২৭ হি:) এর ঘটনা শুনুন। তিনি আজমির থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। সামনে ছিল হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চল । ঐ এলাকার মানুষ খবর পেল এপথে খাজা আজমিরি অতিক্রম করবেন। খাজা সাহেবকে দেখবার জন্য তারা পথে এসে জমায়াত হল। খাজা সাহেব যখন এলেন তখন তার চেহারা দেখেই সে এলাকার সকল মানুষ কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল। আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহে তাদের অন্তরের জগৎ পরিবর্তন হয়ে গেল।
শক্তির জোরে কারো হাত-পা বেঁধে বশীভূত করতে পারো। হত্যা করতে পারো। এমনকি তার ইচ্ছার বিরোধী কাজও তাকে দিয়ে করাতে পারো। কিন্তু অন্তরের জগৎ পরিবর্তন করতে পারো না। বস্তুত রাজা-বাদশা দ্বারা এমন কাজ হয়নি যা হয়েছে এই সকল ফকির দরবেশ দ্বারা। এই উপমহাদেশের ইতিহাস সাক্ষী যে,এখানে ইসলামের প্রচার প্রসারে ফকির-দরবেশদের নিষ্ঠা পূর্ণ মেহনতই প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
মুমিন জীবনের গন্তব্য
ভাইয়েরা আমার! আল্লাহর দেওয়া এ সকল পার্থিব ভোগসামগ্রী এগুলো আল্লাহর জন্য কুরবান করো বা অন্যের জন্য , তা বিনাশ হওয়ার বিনাশ হবেই। মাল-আওলাদের হাকিকত সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,“ তোমরা জেনে রাখ,পার্থিব জীবন ক্রিড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ছাড়া আর কিছু নয়; যেমন বৃষ্টির অবস্থা, যার বর্ষণে সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তাকে তুমি পীতবর্ন দেখতে পাও। এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারনার উপকরন বৈ কিছু নয়। (সূরা হাদীদ-২০)
“ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব আপনকর্তার, সত্তা ছাড়া।” (সূরা রহমান-২৬,২৭)
আল্লাহ তাআলাকে রাজি করো বা অন্য কাউকে রাজি করো, তোমার জীবনের অবসান ঘটবেই। এই বিলাস ভুবন, এই স্বজন-পরিজন কেউ যাবে না তোমার সাথে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “ মানুষ যখন মারা যায় তখন তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায় (বস্তুনীচয়ের সকল বস্তুর সাঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়) তবে তিনটি বস্তুর কল্যাণ সে লাভ করে-
১ সদকায়ে জারিয়া। ২. ইলমে নাফে- যে ইলম দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় যেমন কিতাব লেখে গেল, ছাত্র বানিয়ে গেল। ৩. নেক সন্তান যে তার জন্য দুআ করে।” (তিরমিযী: হাদিস নং-১৩৭৭)
ভাইয়েরা আমার! যদি এই অন্তরকে আল্লাহর মোহাব্বত দ্বারা আবাদ করতে চাও তাহলে অন্য কাউকে এতে স্থান দিও না। কারণ, এ হচ্ছে আত্মমর্যাদাবোধের ব্যাপার। একসাথে দুজনের অর্চনা এখানে চলে না। এই অন্তরে একসাথে দুজনকে রাখা যায়না।
অন্তরকে আল্লাহ দ্বারা আবাদ করো বা অন্য কারো দ্বারা এর সাথে রিযিকের সম্পর্ক নেই। মুমিন-কাফির উভয়েই তার নির্ধারিত রিযিক পেয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলাকে মানে না এমন নাস্তিককেও তিনি রিযিক দেন। আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে সদা তৎপর থাকে তার রাজ্যও অটুট রাখেন। কুদরতের ভাষায় এ হচ্ছে ঢিল দেওয়া- এ কারনে দ্বিধায় পড়ার কারণ নেই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- যখন কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি কথন তার অবস্থাসম্পন্ন লোকদেরকে উদ্বুদ্ধ করি, অতঃপর তারা পাপাচারে মেতে ওঠে । তখন যে জনগোষ্ঠির ওপর আদেশ অবধারিত হয়ে যায়। তারপর আমি তাকে ওঠিয়ে আছার দিই।” (সূরা বনী ইসরাইল-১৬)
পার্থিব জীবনে রিযিকের দুয়ার সকলের জন্য অবারিত:
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “ভূপৃষ্ঠে বিচরনকারী সকলের রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর যিম্মায়। ’ (সূরা হুদ -৬)
আয়াতের সারকথা: আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় সকল সৃষ্টির রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। অবিশ্বাসী বান্দাগণকে স্মরন করিয়ে দিচ্ছেন, তোমাদের কী হল? কি করে ভূলে যেতে পারলে তোমাদের , খালিক ও মালিক করুনাময় আল্লাহকে ? তিনি তো তোমাদের প্রতিপালনে উদাসীন হননি। তাহলে তোমরা কি করে উদাসীন হলে?
বিশিষ্ট আবেদ বুযুর্গ আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, খাও কোত্থেকে? উত্তরে তিনি বলেন, সুবহানাল্লাহ! যিনি পথের একটি কুকুরকে খেতে দেন তিনি আবু সায়িদকে খেতে দিবেন না!
হাতেম আলআছার একটি আরবী কবিতা আবৃত্তি করেন, তার ভাবার্থ এমন-
দারিদ্র তাকে ভয় পাবো! আল্লাহ হলেন আমার রিযিকদাতা। রিযিক দেন তিনি সৃষ্টির সকলকে, অভাবে এবং সচ্ছলতায়, রিযিক দেন তিনি মরুভূমির সামান্য গিরগিটিকেও, সমুদ্রের মস্তদেহী তিমিকেও ।”(তাফসিরে কুরতুবী ৯/৩,৭)
সুতরাং রিজিকের মিথ্যা অজুহাতে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া শয়তানের ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়। ইমাম গাজালী রহ: লিখেছেন-যখন কেউ কাউকে দাওয়াত করে তখন সে মেহমানের জন্য থাকা খাওয়ার সকল ব্যবস্থা করে। মেহমান এসবের চিন্তা করে না। সে খাওয়ার জন্য ভাবে না, শোয়ার জন্য ভাবে না। দাওয়াত পাওয়ার পর বাজার সদাই করতে পেরেশান হয় না। সে মেহমানের কথায় আস্থা স্থাপন করে। বিশ্বাস করে, সময় মত খাবার সামনে আসবে।
ইমাম গাজালী রহ: লিখেন, মেজবান দুর্বল একজন মানুষ তার কথার ওপর যদি এটুকু বিশ্বাস জন্মাতে পারে তাহলে আল্লাহ তাআলার ওয়াদার ওপর ভরসা থাকবে না কেন? তিনি তো স্পষ্ট বলেছেন, “দুনিয়ার বিচরণশীল প্রত্যেকের রিজিকের দায়িত্ব তার উপর।” ইমাম গাজালী রহ: আরো লিখেন, আল্লাহ তাআলা মায়ের পেটেও রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি যদি রিযিকের ফয়সালা না করেন তাহলে রিযিক কে দিবে?
আমি বলব, নফস এবং শয়তান রিজিকের অজুহাত খাড়া করে আল্লাহকে ভূলিয়ে দেয়। আমাদের চিন্তা করা উচিত, কোথায় যাচ্ছি আমরা? ছাত্র,মুসল্লী-সকল মানুষের চিন্তা করা উচিত তাদের জীবনকে কোন কাজে লাগাবে। আল্লাহর কাজে না অন্যের কাজে। আল্লাহর পথে না আমাদের জীবনকে সঁপে দিলে তিনি কি আমাদের রিযিকের ব্যবস্থা করবেন না? তিনি তো অবিশ্বাসী কাফির, নাস্তিকের রিযিকেরও ব্যবস্থা করেন আসলে আল্লাহ তা আলার নিকট দুনিয়ার কোন মূল্য নেই। এজন্য তিনি দুনিয়াতে সবাইকেই রিযিক দিয়ে থাকেন।
কুরআনে বর্ণিত মুমিনে কামেলের গুণাবলী
সূরা মুমিনূনের প্রথম দশ আয়াতে মুমিনে কামেলের সিফাতসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এই আয়াতগুলো নাযিল হওয়ার পর নবীজি সা: ইরশাদ করেন, এমন দশটি আয়াত নাযিল হয়েছে। কেউ যদি এই আয়াতগুলো পুরোপুরি পালন করে, তবে সে জান্নাতে যাবে। ইমাম নাসায়ী রহ: ইয়াযীদ ইবনে য়াবনুস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একবার হযরত আয়েশা রা: কে প্রশ্ন করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্র কিরূপ ছিল? তিনি বললেন তার চরিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে। এরপর সূরা মুমিনুনের প্রথম দশটি আয়াত পাঠ করলেন।
(তাফসিরে ইবনে কাসির,২/৪৪৬)
মুমিন বান্দারা সফলকাম হয়ে গেছে। যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-ন¤্র। যারা অনর্থক ক্রিয়াকর্ম থেকে বিরত। যারা যাকাত প্রদান করে। এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গের সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে। এবং যারা তাদের নামায সমূহের খবর রাখে। তারা উত্তরাধিকার লাভ করবে। উত্তরাধিকার লাভ করবে শীতল ছায়াময় উদ্যানের। তাতে চিরকাল থাকবে। {সূরা মুমিনূন-১-১০}
ঈমান, ইসলাম ও ইখলাসের শিক্ষা:
সহীহ মুসলিমের প্রথম হাদীস ‘হাদিসে জিব্রীল’ এই হাদিসে নবুওয়াত, রিসালাতের ২৩ বছরের যিন্দেগীর সার-সংক্ষেপ ওঠে এসেছে। এখানে জিব্রাইল আমীন আ: আগন্তুকের বেশ ধরে সাহাবাগণের মজলিসে দ্বীন, ঈমান ও ইহসানের হাকিকত সম্পর্কে নবীজিকে প্রশ্ন করেন। নবীজি সা: তার প্রশ্নের জবাব দেন। জিব্রাইল আ: ইয়া রাসূলুল্লাহ! ইসলাম কি জিনিস? বলুন আমাকে।
নবীজি সা:ঃ ইসলাম হচ্ছে- সাক্ষী দেওয়া আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। মুহাম্মদ সা: আল্লাহর সত্য রাসূল। নামায আদায় করা। যাকাত প্রদান করা, রমাযানের রোযা রাখা। সক্ষমতা থাকলে বায়তুল্লাহর হজ করা।
জিব্রাইল ঃ বলুন হে মুহাম্মদ! ঈমান কী জিনিস?
নবীজি সা:ঃ ঈমান হচ্ছে, আল্লাহর বিশ্বাস করা, তার ফিরিস্তা, তাঁর প্রেরিত নবী-রাসূল, কিতাব, পরকাল ও তাকদিরের ভাল মন্দে বিশ্বাস করার নাম।
জিব্রাইলঃ হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইহসান বা মারেফত সম্পর্কে বলুন।
নবীজিঃ ইহসান হল এমন জিনিস যে, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এভাবে যে তুমি আল্লাহকে দেখছো। আর তুমি যদি ঐ মাকামে পৌঁছতে না পারো তাহেল এতটুকু একীন অবশ্যই রাখবে যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।” (সহীহ মুসলিম-১/২৭)
ভাইয়েরা আমার! ইহসান বা তাসাউফ সম্পর্কে আমি বলতে চাই। এখানে নবীজি সা: ইবাদত শব্দ বলেছন অন্য কোন খাস ইবাদতের নাম বলেননি। এই শব্দ মুমিন জীবনের প্রতিটি কর্মকে অন্তর্ভূক্ত করে নিয়েছে। অর্থাৎ মুমিন যা করে প্রত্যেক কাজেই তার এই ভাবনা থাকতে হবে যে, আমি এই কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করছি। আমার আল্লাহে আমি দেখছি। এটা তাসাউফ বা মারেফতের ১ম স্তর। আর মারেফতের ২য় স্তর হল, এই বিশ্বাস ও ধ্যান থাকা যে, আমাকে আমার আল্লাহ দেখছেন। যে অবস্থাতে থাকিনা কেন।
ইমাম নববী রহ: লিখেন, হাদীসের এই অংশীট ‘জাওয়ামিউল কালিম’এর অন্তর্ভূক্ত। এই গুণ হাসিল হলে বান্দা তার প্রতিটি কাজেই চূড়ান্ত নিষ্ঠা ও সততার পরিচয় দিবে। তার বিশ্বাস থাকবে আল্লাহ আমাকে দেখছেন। (শরহে নববী ১/২৮)
পূর্বসূরীদের স্মরণে
আলেম ভাইদের বিশেষ করে বলছি। আমাদের পূর্বসূরী কারা ছিলেন? কি ছিল তাদের নিষ্ঠা ও পরহেযগারী? আকাবির ও পূর্বসূরিকে কি আমরা অন্তরঙ্গ অধ্যায়ন করি? তাদের রক্তপিচ্ছিল পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস কি আমরা অন্তর দিয়ে অনুভব করি?
হযরত নানুতাবী রহ: যখন মুহতামিম হয়ে দেওবন্দ আসেন তখন বেতন বৃদ্ধির কথা উঠলে বললেন, আমার জন্য পাঁচ টাকাই অনেক । হযরত শায়খুল হিন্দ রহ: কে বলা হল, আপনার বেতন বাড়ানো হবে। তিনি বললেন, এখন যা দেওয়া হচ্ছে তার হিসাবই তো দিতে পারবো না।
একট ভাবুন ! চিন্তা করুন।
আল্লাহ তাআলা দিনকে সৃষ্টি করেছেন, রাতকে সৃষ্টি করেছেন। হায়াত মওতের ¯্রষ্টা তিনি। আমরা তার ওপরই ভরসা করি। তার নূর সমূদ্রের অথৈ জলে নিজেকে আমরা বিলীন করি। তার দিদার লাভ হোক এই আমাদের দিবস-রজনীর আরাধনা । তিনি হলেন আমাদের মাকসাদে হায়াত, জীবনের অভিসার।
আল্লাহর তাওফীকে কিছু কথা বললাম। আল্লাহর বান্দাগণকে আল্লাহর সাথে জুড়ে দেওয়ার পিছনে মেহনত করে যান। আল্লাহ তাওফীক দান করুন, কবুল করুন ও সকল ফেতনা থেকে আপনাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন।
অনুবাদ
মুফতী হাফীজুদ্দীন
প্রধান মুফতী-জামিয়াতুল আস’আদ আলইসলামিয়া ঢাকা
আল্লাহ আমাদের দিনের খেদমতের জন্য কবুল করুন.