যাদেরকে যাকাত ও ফিতরা দেয়া যাবে না
আস্সালামু আলাইকুম,
প্রশ্নঃ (ক) যাকাত ও ফিতরা কাকে দেয়া যাবে না, বিস্তারিত জানালে উপকৃত হইব।
(খ)আর দাদী ও নানীর বংশকে ফেতরা দেওয়া যাবে কি না?
উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক) নিম্নোক্ত ব্যক্তিদে্রকে যাকাত ও ফেতরা দেয়া যাবেনা,
১। যাকাত দাতার ঊর্ধ্বতন পুরুষকে ( পিতা, দাদা, পর দাদা, নানা, পর নানা ও তাদের উপরের ব্যক্তিগন,
এরকম ভাবে মা, দাদী, না্নী, পর দাদী পর নানী প্রমুখ)
২। অধস্তন পুরুষকে ( ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি, পুতি ও তাদের সন্তানরা)
৩। স্বামী তার স্ত্রীকে, স্ত্রী তার স্বামীকে।
৪। দাস ও দাসীকে।
৫। নেসাব পরিমান মালের মালিককে
৬। নেসাব পরিমান মালের মালিককের নাবালেগ সন্তানকে।
৭। নেসাব পরিমান মালের মালিককের দাস-দাসীকে।
৮। বনু হাসেম বা সায়্যেদ বংশের ব্যক্তিদের (যারা নবী সা. বা আলী ও আব্বাস রা. এর বংশধর)
৯। বনু হাসেম বা সায়্যেদ বংশের ব্যক্তিদের স্বাধীনকৃত গোলাম ও বাদীদের
১০। কাফের ও অমুসলিমকে।
যাকাত ও ফেতরা আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে, সুতরাং কোন দল,
সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা চ্যানেলকে দেয়া যাবেনা।
শরয়ী দলীল
في مراقي الفلاح:(كتاب الزكاة ـ باب المصرف)[صـ 720-721 ] و لا يصح دفعها لكافر و غني يملك نصابا أو ما يساوي قيمته من أي مال كان فاضل عن حوا ئجه الأ صلية و طفل غني و بني هاشم و مواليهم ———— و أصل المزكي و فرعه و زوجته و مملوكه و مكا تبه و معتق بعضه ـ
وفي تبيين الحقائق:(كتاب الزكاة ـ باب المصرف)[جـــ2صـ122]لَا يَجُوزُ الدَّفْعُ إلَى أُصُولِهِ وَهُمْ الْأَبَوَانِ وَالْأَجْدَادُ وَالْجَدَّاتُ مِنْ قِبَلِ الْأَبِ وَالْأُمِّ وَإِنْ عَلَوْا وَلَا إلَى فُرُوعِهِ وَهُمْ الْأَوْلَادُ وَأَوْلَادُ الْأَوْلَادِ وَإِنْ سَفَلُوا إلَى آخِرِ مَا ذُكِرنا ——وَكَذَا جَمِيعُ الصَّدَقَاتِ كَالْكَفَّارَاتِ وَصَدَقَةِ الْفِطْرِ وَالنُّذُورِ لَا يَجُوزُ دَفْعُهَا لِهَؤُلَاءِ لِمَا ذَكَرْنَا
প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
১। মারাকিল ফালাহ ৭৩০-৭২১
২। তাবঈনুল হাকায়েক- ২/১২২
৩। আল বাহরুর রায়েক- ২/৪২৫-৪৩৯
৪। আদ্দুররুল মুখতার – ৩/৩৪১ (বয়রুত)
৫।ফাতাওয়া হিন্দিয়া- ১/ ২৫৪
(খ) দাদী ও নানীর বংশ অর্থাৎ চাচা, ফুপু, মামা, খালা ও তদের সন্তান সন্ততিদেরা যদি দরীদ্র হয় তাহলে তাদের যাকাত ও ফেতরা দেয়া যাবে । শুধুতাই নয় নিকটাত্মীয় দের দান করা অধিক উত্তম। হাদীস শরিফে এসেছে, রাসূলাল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফকির মিসকিনকে সদকা দিলে তা কেবল সদকা হল, আর নিকটাত্মীয়কে দিলে দুটি সওয়াব। একটি সদকা এবং আরেকটি সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা।(তিরমিজী)।
শরয়ী দলীল
وفي الترمذي :{باب مَا جَاءَ فِي الصَّدَقَةِ عَلَى ذِي القَرَابَةِ }(جــ1 صــ142 )حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنِ الرَّبَابِ، عَنْ عَمِّهَا سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الصَّدَقَةُ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ، وَهِيَ عَلَى ذِي الرَّحِمِ ثِنْتَانِ: صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ
وفي الفتاوى الهندية: (الباب السابع في المصارف)[جــ1 صـ252] والأفضل في الزكاة والفطر والنذر الصرف أولا إلى الإخوة والأخوات ثم إلى أولادهم ثم إلى الأعمام والعمات ثم إلى أولادهم ثم إلى الأخوال والخالات ثم إلى أولادهم ثم إلى ذوي الأرحام ثم إلى الجيران ثم إلى أهل حرفته ثم إلى أهل مصره أو قريته كذا في السراج الوهاج
প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
১। তিরমিজী শরীফ- ১/১৪২
২। ফাতাওয়া হিন্দিয়া- ১/২৫২
৩। ত্বহতবী আলা মারাকিল ফালাহ ৭২১
৪। আল বাহরুর রায়েক- ২/৪২৫
والله اعلم بالصواب
সত্যায়ন করেছেন উত্তর প্রদানে
মুফতী আব্দুল হাসিব দা. বা. (মুফতী) মুহাম্মাদ আরমান সাদিক
মুফতী ইফতা বিভাগ
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
সত্যায়ন ও সার্বিক তত্তাবধানে
মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা.
প্রধান মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
৬,৮,৯ নং ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করছি।
অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া যাবে না এই রেফারেন্স কোথায় আছে???