কোন মুসলিমের জন্য অমুসলিমের রক্ত নেয়া বৈধ হবে কী?
প্রশ্নঃ কোন মুসলিমের জন্য অমুসলিমের রক্ত নেয়া বৈধ হবে কী?
بسم الله الرحمن الرحيم
উত্তরঃ চিকিৎসার তীব্র প্রয়োজনের ভিত্তিতে ফুকাহায়ে কেরাম একজনের রক্ত অপরজনের শরীরে প্রবেশ করানো জায়েজ বলেছেন।কেননা কুরআনে কারীম ও হাদীস শরীফের আলোকে বুঝা যায় তীব্র প্রয়োজনের সময় হারাম জিনিস ব্যবহার ও গ্রহণ করার অনু মতি আছে। তবে যথাসম্ভব মুসলমানের শরীরে অমুসলিমের রক্ত প্রবেশ না করানো উচিৎ, কারণ এতে মুসলমানের শরীরে খারাপ পতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
শরয়ী দলীল
قال الله تعالى :{إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ } [البقرة : 173]
أخرجه الامام البخاري في صحيحه : عن أنس رضي الله عنه : أن ناسا اجتووا في المدينة فأمرهم النبي صلى الله عليه و سلم أن يلحقوا براعيه يعني الإبل فيشربوا من ألبانها وأبوالها فلحقوا براعيه فشربوا من ألبانها وأبوالها حتى صلحت أبدانهم فقتلوا الراعي وساقوا الإبل فبلغ النبي صلى الله عليه و سلم فبعث في طلبهم فجيء بهم فقطع أيديهم وأرجلهم وسمر أعينهم) صحيح البخاري – برقم: 5362 ، 2/ 848)
في تبيين الحقائق( جـ7 صـ74 ) وقال في النهاية يجوز التداوي بالمحرم كالخمر والبول إذا أخبره طبيب مسلم أن فيه شفاء ، ولم يجد غيره من المباح ما يقوم مقامه والحرمة ترتفع للضرورة فلم يكن متداويا بالحرام
তথ্যসূত্রঃ
১/ সূরা বাকারা আয়াত নং ১৭৩
২/ সহীহ বুখারী- ২/৮৪৮
৩/ তিরমিযী শরীফ ১/৩০৬
৪/ তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৭৪
৫/ জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/৪০
৬/ জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৬
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুফতী মোস্তফা কামাল
মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া ঢাকা
সত্যায়ন ও সার্বিক তত্তাবধানে
মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা.
প্রধান মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
ইমেইল-jamiatulasad@gmail.com