পর্দা লঙ্ঘন করে চাকরির উপার্যিত টাকা ব্যয় করা বৈধ কিনা?
প্রশ্নঃ যদি কোন নারী চাকরি করে যেমন সরকারি চাকরি যেখানে তার পরিপূর্ণ পর্দা করা হচ্ছেনা,শরিয়াতের অনেক হুকুম অমান্য করা হচ্ছে। যদিও সে হিজাব করে। আর তার জন্য এ চাকরি না করলে চলতে পারবেনা বা চাকরি করতে হবে না হলে খাওয়া-দাওয়া কষ্ট হয়ে যাবে এমনও না। আর আমার জানা মতে বাংলাদেশে পূর্ণ শরিয়াত মেনে কাজ করা যায় বা সরকারি চাকরি আছে এমন কোন চাকরি নেই। এক্ষত্রে নিশ্চয় ওই নারীর চাকরি করা জায়েজ নাই। তার মানে হারাম তাই নয় কি?
এখন ওই নারীর আয় করা টাকা কি হালাল হবে? তা দিয়ে খাওয়া ,পোশাক ইত্যাদি কি হালাল হবে। রেফারেন্স সহ জানাতে পারলে উপক্রিত হব ।
بسم الله الرحمن الرحيم
উত্তরঃ ইসলামে অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিধান হচ্ছে পর্দা। তাই পর্দার ব্যপারে অত্যান্ত যত্নশীল হওয়া চাই। কোন ভাবেই পর্দা লঙ্ঘন হয় এমন কোন কাজ করা একদমই ঠিক না। কোন চাকরিতে পর্দার ফরজ বিধান লঙ্ঘন হলে মহিলা হোক বা পুরুষ সেই চাকরি করা তদের জন্য জায়েজ নেই। মূল চাকরি যদি বৈধ হয়ে থাকে তাহলে এই আনুসঙ্গিক কারণে (পর্দা লঙ্ঘন) মূল উপার্যন হারাম হবেনা। তাই তা বৈধ ভাবে যে কোন স্থানে ব্যয় করা জায়েজ আছে। তবে খুব শিঘ্রই তার জন্য এ চাকরি ছেড়ে দেয়া আবশ্যক।
শরয়ী দলীল
في المبسوط لشمس الدين السرسخي – (8 / 46) ويكره له أن يستأجرامرأة حرة أو أمة يستخدمها ويخلو بها لقوله صلى الله عليه وسلم لايخلون رجل بامرأة ليس منها بسبيل فان ثالثهما الشيطان ولانه لايأمن من الفتنة على نفسه أو عليها إذا خلا بها ولكن هذا النهى لمعنى في غير العقد فلا يمنع صحة الاجارة ووجوب الاجر إذا عمل كالنهي عن البيع وقت النداء
فتاوى محمو دية ميں هے(ج 27ص358): عورت كے ذمه پردگى كى وجه سے اس كى حلال كمائى كو ناجائز نهيں كها جا ئيگا ـ
في رد المحتار – (2 / 134) }باب صلاة المسافر{ قوله: (لان القبح المجاور الخ) هو ما يقبل الانفكاك، كالبيع وقت النداء فإنه قبح لتر ك السعي وهو قابل للانفكاك،
প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
১। আল মাবসূত লিসসারখসী ৮/৪৬
২। ফাতাওয়া শামী ২/ ১৩৪
৩। ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ২৭/৩৫৮
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে
ইফতা বিভাগ
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
সার্বিক তত্তাবধানে
মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা.
প্রধান মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
ইমেইল-jamiatulasad@gmail.com
কোনো মাযহাব না মেনে যদি সাধারণ মানুষ কুরআন ও হাদীস দেখে আমল করে তাহলে সমস্যা কোথায়? দয়াকরে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
সমস্যা হল সাধারন মানুষের এ যোগ্যতা নেই যে কুরআন হাদীসের যে অনুবাদ বা ব্যখ্যা তারা বাংলায় পড়ছে বা জানছে তা সঠিক কিনা তা জানার যোগ্যতা তাদের নেই। আরবী জানে এমন অনেক সাহাবীই অন্য প্রাজ্ঞ সাহাবীদের অনুসরণ করত। কেননা কুরআন ও হাদীস দেখে সরাসরী আমল করার যোগ্যতা তাদের পুরোপুরি ছিল না। অথচ তারা ছিলেন নবী যুগের মানুষ। এখন আপনিই বলুন কোন ব্যক্তি বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষা জানে না এখন তার পক্ষে কিভাবে সম্ভব হবে কুরআন ও হাদীস দেখে সরাসরী আমল করা। এটা তো এমন হয়ে গেল, একজন গাড়িই চালাতে জানে না সে প্রশ্ন করছে আমাকে কেন বিমান চালাতে দেয়া হবে না?
জাযাকাল্লাহু খয়রান। হুজুর আমার একটা প্রশ্ন- আামি একজন সরকারী চাকুরিজীবী। জেনারেল লাইনের লোক। আমি পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। পিতা-মাতা বাড়ীতে থাকেন। আমি দাওয়াতে তাবলীগে সময় লাগিয়ে দ্বীনের উপর চলার চেষ্টা করি। বাড়ীতে দ্বীনদ্বারী পরিবেশ নেই। পিতা-মাতা অসুস্থ তাদের দেখা-শোনার কোনো লোক নেই বিধায় আমি বদলী হয়ে আমার থানাতে যেতে চাই যাতে বাড়ীতে থেকে অফিস করা ও পিতা-মাতাকে দেখা-শোনা করা যায়। আমার স্ত্রী এলাকায় যেতে চাইলেও আামার পিতা-মাতার সাথে সে থাকতে চায় না। কারণ বাড়ীর পরিবেশ খারাপ তাই। স্ত্রীর কথা হলো, এলাকায় গিয়ে শহরে কোথাও থেকে পিতা-মাতাকে দেখা -শোনা করতে হবে বাড়ীতে থাকা যাবে না। কথা হলো-আমি যদি পিতা-মাতার সাথে না থাকি তাহলে পিতা-মাতাকে সার্বক্ষণিক দেখা-শোনা করা ও জমি-জমা দেখাশোনা করা কষ্টকর ব্যপার। আমি এখন কী করব? দয়াকরে জানালে উপকৃত হবো।