নামাজের গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। পবিত্র কুরআন শরীফের বহু জায়গায় নামাজের নির্দেশ এসেছে। ইরশাদ হচ্ছে, ( الذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ (البقرة : “যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস রাখে এবং নামাজ কায়েম করে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তব্যের মাধ্যমে, আমলের মাধ্যমে। নিম্নে কিছু হাদীস পেশ করা হল:
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : بني الإسلام على خمس شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله وإقام الصلاة وإيتاء الزكاة والحج وصوم رمضان
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,ইসলামের ভিত্তি রাখা হয়েছে পাঁচ জিনিষের উপর, (১)লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ এর সাক্ষ দেয়া। (২) নামাজ কায়েম করা (৩) যাকাত আদায় করা (৪) হজ্জ করা (৫) রমজান মাসের রোজা রাখা।(সহীহ বুখারী , হাদীস নং ৮, সহীহ মুসলিম , হাদীস নং ১২২)
عن علي قال كان آخر كلام رسول الله صلى الله عليه و سلم ” الصلاة الصلاة اتقوا الله فيما ملكت أيمانكم “
হযরত আলী রাযি. হতে বর্নিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ অসিয়ত এই করেছেন যে,নামাজ, নামাজ, আপন গোলাম ও অধীনস্থদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।(আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১৫৬, মুসনাদে আহমদ , হাদীস নং ৫৮৫, ইবনে মাজাহ , হাদীস নং ২৬৯৮)
عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : مفتاح الجنة الصلاة ومفتاح الصلاة الطهور
হযরত যাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি. হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,জান্নাতের চাবি হল নামাজ ও নামাজের চাবি হল পবিত্রতা।(মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১৪৭০৩, তিরমিজী শরীফ , হাদীস নং -৪)
عن أنس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أول ما يحاسب به العبد يوم القيامة الصلاة فإن صلحت صلح له سائر عمله وإن فسدت فسد سائر عمله
হযরত আনাস রাযি. হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামজের হিসাব নেয়া হবে যদি নামাজ ঠিক থাকে তবে বাকী আমলও ঠিক হবে। আর যদি নামাজ খারাপ হয় তবে বাকী আমলও খারাপ হবে।(মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারানী, হাদীস নং ১৮৮০)