দাওয়াত ইলাল্লাহ এর গুরুত্ব
আল্লাহ তায়ালা দিকে আল্লাহর বান্দাদের ডাকা কারো সামনে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরাকে দাওয়াত ইল্লাল্লাহ বলা হয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহর কথা বলাকে সবচেয়ে উত্তম কথা বলে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে
[وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ [فصلت : 33
“ঐ ব্যক্তির চেয়ে কথায় কে উত্তম যে আল্লাহর দিকে ডাকে ও সৎকর্ম করে এবং বলে আমি তো অনুগতদের অন্তরভুক্ত”।(সূরা হা-মীম-সাজদাঃ ৩৩) অতএব ঈমানদার সকল মুমিনের উচিৎ দাওয়াতের কাজে নিজের সময়, এনার্জিকে ব্যয় করা। যারা দাওয়াতের কাজে নিজের টাইম, মানি, এনার্জি ব্যয় করে তারা পরকালে সবগুলোর উত্তম বিনিময় পেয়ে যাবে।
দাওয়াতের আমল কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণী ও অঞ্চলের সাথে খাস নয়। বরং সকলের ফরিযা ও দায়িত্ব দাওয়াতের কাজে ব্রত হওয়া। তবে এটা প্রত্যেকে নিজ নিজ পরিমণ্ডলে থেকে এই দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে পারবে। লেখক লিখনীর মাধ্যমে, শিক্ষক তার শিক্ষালয়, আল্লাহর কথা বলার মাধ্যমে, আলেম তার পরিমণ্ডলে ওয়াজ ও তাফসীর ইত্যাদির মাধ্যমে, ইমাম ইমামতির মাধ্যমে, মোয়াজ্জিন আজানের মাধ্যমে, সাংবাদিক সংবাদ পরিমণ্ডলে, ব্লগার ব্লগিং, ইন্টারনেট ও ফেসবুকের মাধ্যমে ইখলাসের সাথে আল্লাহর মর্যাদাকে সহীহ কথার মাধ্যমে দাওয়াতের কাজ আঞ্জাম দিবে। এভাবে সর্বক্ষেত্রে দাওয়াতের কাজ ব্যাপক হলে সমাজের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, ইনশাল্লাহ। দায়ী (দাওয়াত দেনেওয়ালা) উপকৃত হবে, যাকে দাওয়াত দেয়া হবে সেও লাভবান হবে।