হজ্জ
হজ্জ ইসলামের একটি অন্যতম রোকন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
عن ابن عمر، رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ” بني الإسلام على خمس: شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله، وإقام الصلاة، وإيتاء الزكاة، والحج، وصوم رمضان ” صحيح البخاري (1/ 11
অনুবাদঃ ইসলামের ভিত্তি রাখা হয়েছে পাঁচটি বিষয়ের উপর ১) আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, এ কথার সাক্ষ্য দেয়া।
২) নামাজ কায়েম করা
৩) যাকাত প্রদান করা
৪) রমজান মাসে রোজা রাখা
৫) বাইতুল্লাহ শরীফে হজ্জ করা
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯)
যে সব আমলের উপর ইসলা্ম ধর্ম ভিত্তি করে তার মাঝে একটি হল হজ্জ।(যেমন পূর্বের হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়।)
হজ্জের পরিচয়ঃ
هو زيارة مكان مخصوص في زمان مخصوص بفعل مخصوص ملتقى الأبحر ص: 382
হজ্জের মাসসমূহে হজ্জের নিয়তে আল্লাহর ঘর-কাবা শরীফ ও নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশেষ কিছু আমল করাকে হজ্জ বলা হয়।
হজ্জের বিধানঃ
হজ্জের মাসসমূহে কোন ব্যক্তি যদি শারিরিক ভাবে সুস্থ থাকে এবং মক্কা শরীফে অবস্থিত বায়তুল্লাহ শরীফে আসা যাওয়ার খরচাদী বহন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে ঐ ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরজ।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে মাহরাম থাকা শর্ত।
হজ্জের মাসসমূহ
হজ্জের মাস হলো তিনটিঃ
১) শাওয়াল
২) জিলক্বদ
৩) জিলহজ্জ
এই মাস হলো হজ্জের মাস। ইরশাদ হচ্ছেঃ-
{الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ } [البقرة: 197]
হজ্জ্বে কয়েকটি মাস আছে সুবিদিত। এসব মাসে যে লোক হজ্জ্বের পরিপূর্ণ নিয়ত করবে, তার পক্ষে স্ত্রীর সাথে নিরাভরণ হওয়া জায়েজ নয়। না অশোভন কোন কাজ করা, না ঝাগড়া-বিবাদ করা হজ্জ্বের সেই সময় জায়েজ নয়। ( সূরা হজ্জ,১৯৭)
ব্যাখ্যাঃ হজ্জের মাস তিনটি হওয়ার অর্থ হলো কোন ব্যক্তি যদি এর মাঝে মক্কায় আসা যাওয়ার খরচাদী বহন করতে সামর্থবান হয় তাহলে তার উপর হজ্জ ফরজ হবে।
আর দ্বিতীয় বিষয় হলঃ কোন ব্যক্তি যদি শাওয়াল মাস আসলে হজ্জের ইহরাম বাঁধে তাহলে ঐ ইহরাম দ্বারা জিলহজ্জ মাসের ৮,৯,১০,১১,১২ ও ১৩ তারিখের হজ্জের আমলগুলো সম্পাদন করতে পারবে। শাওয়ালের আগে ইহরাম বাঁধলে ঐ ইহরাম দ্বারা হজ্জ করতে পারবেনা। এই হলো হজ্জের তিন মাস হবার অর্থ। এর অর্থ এই নয় যে এই তিন মাসের যে কোন দিনে হজ্জের আমল করতে পারবে। কেননা নির্দিষ্ট দিনগুলো ছাড়া অন্য তারিখে আরাফা মুজদালিফা ও মিনায় অবস্থান করলে হজ্জ হয়না।