হজ্জের প্রকারভেদ
হজ্জের তিন প্রকার। হজ্জে কিরান, তামাত্তু ও ইফরাদ। মক্কার বহিরাগতদের জন্য যে কোনটি করার সুযোগ আছে। এতে তাদের হজ্জের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে এই তিনটির মাঝে সর্বোত্তম হচ্ছে হজ্জে কিরান, এরপর তামাত্তু এরপর ইফরাদ। নিচে সবগুলোর পরিচিতি ও জরুরী মাসআলা মাসায়েল উল্লেখ করা হল।
# হজ্জে কিরান
মীকাত থেকে একসাথে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বেঁধে একই ইহরামে উভয়টি পালন করা। মক্কা মুকাররামায় পৌছে পরথমে উমরা করা, এরপর হালালা হওয়া ছাড়াই সেই ইহরাম দিয়ে হজ্জের সময় হজ্জ আদায় করা এবং কুরবানী দেয়া। -আদ্দুররুল মুখতার ২/৫২৯
# হজ্জে তামাত্তু
হজ্জের মাসসমূহে মীকাত থেকে শুধু উমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কা মুক্কাররমায় পৌছে উমরার কাজ সম্পাদন করে চুল কেটে বা মুণ্ডিয়ে ইহরাম মুক্ত হয়ে যাওয়া। এরপর এই সফরেই হজ্জের ইহরাম বেঁধে হজ্জের কার্য সম্পাদন করা এবং কুরবানী দেয়া।- জামে তিরমিযী ১/১০২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৩৫
# হজ্জে ইফরাদ
মীকাত থেকে শুধু হিজ্জের নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কা মুকাররমায় পৌছে উমরা না করা বরং তাওয়াফে কুদুম (সুন্নত তাওয়াফ) করে ইহরাম অবস্থায় হজ্জের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা এবং হজ্জের সময় হজ্জ করা। -মানাসিক ৯৪; যুবতাতুল মানাসিক ৮৮
উল্লেখ্য, হজ্জে কিরান ও তামাত্তুর জন্য যে কুরবানী করতে হয় তাকে বলা হয় দমে শোকুর। যা কুরবানী নয়। দুইটি বিন্ন আমল। তাই এই দু’প্রকার হজ্জ পালনকারী যদি কুরবানীর দিন গুলোতে মক্কায় মুকিম থাকে ও কুরবানী ওয়াজিব হয় এপরিমান সম্পদ থাকে তাহলে দমে শোকুরের পাশাপাশি কুরবানীও করতে হবে। অর্থাৎ দু’টি কুরবানী করতে হবে।