উকূফে আরাফা বা আরাফার ময়দানে অবস্থান
যোহর ও আসর একত্রে পড়া
আরাফার কেন্দ্রবিন্দু সমজিদে নামিরার জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারলে যোহর ও আসর একত্রে ইমামের পেছনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলে যোহরের সময় যোহর এবং আসরের সময় আসর পড়বে। একত্রে পড়লে সময়ের আগে পড়া নামায আদায় হবে না। -আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০৫
উকুফে আরাফায় করণীয়
উত্তম হল কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে একেবারে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দুআ করা। এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে না পারলে বসে বসে দুআ-ইস্তেগফার করবে। এরপর যখনই সম্ভব হবে দাঁড়িয়ে যাবে এবং সর্বক্ষণ তাসবীহ-তাহলীল ও দুআ-মুনাজাতে লেগে থাকবে। -আহকামে হজ্ব ৬৫
সূর্যাস্তের আগে আরাফা থেকে বেরিয়ে যাওয়া
অনেকে সূর্যাস্তের আগেই মুযদালিফায় রওনা হয়ে যায়। এরূপ হয়ে গেলে কর্তব্য হল পুনরায় আরাফায় ফিরে যাওয়া। যদি ফিরে না যায় তবে দম দিতে হবে।
-মানাসিক ২১০; গুনইয়াতুন নাসিক ১৬০; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫২
৯ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আরাফয় পৌঁছতে না পারলে
কেউ যদি ৯ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আরাফার ময়দানে কোনো কারণে পৌঁছতে না পারে তবে সে সুবহে সাদিক হওয়ার আগে কিছু সময়ের জন্য আরাফায় অবস্থান করলেও তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। আর এ কারণে দম বা অন্য কিছু ওয়াজিব হবে না। তবে যথাসময় আরাফায় না পৌঁছার কারণে অপূরণীয় ফযীলত থেকে মাহরূম হয়ে যায়। -মানাসিক ২০৫-২০৬, গুনইয়াতুন নাসিক ১৫৯
আরাফায় জুমা
আরাফার ময়দানে জুমা পড়া জায়েয নয়। তাই এদিন শুক্রবার হলে হাজীগণ যোহর পড়বে। -মানাসিক ১৯৬
আরাফার যে স্থান উকূফযোগ্য নয়
মসজিদে নামিরার পশ্চিমের কিছু অংশসহ ‘বাতনে উরানা’ নামক স্থান রয়েছে। এখানে উকূফ গ্রহণযোগ্য নয়।
-আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৯; গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৭; মানাসিক ১৯৭