মৃত ব্যক্তির জন্য দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে কোন অনুষ্ঠান করার বিধান কী?
প্রশ্ন: আমাদের সমাজে কেউ মারা গেল তার ৩/৪দিন পর দোয়ার আয়োজন করা হয় এবং দোয়ায় অংশ গ্রহণকারীদেরকে দোয়া শেষে কিছু খাবার দেয়াহয়, আমার জানার বিষয় হলো (ক) উক্ত দোয়ার অনুষ্ঠানের হুকুম কি? (খ) উক্ত অনুষ্ঠানে খাবার বিতরণের হুকুম কি? (গ) উক্ত খাবার খাওয়ার হুকুম কি?
بسم الله الرحمن الرحيم
উত্তরঃ (ক ও খ) আমাদের সমাজে প্রচলিত কারো মৃত্যুর পরে মৃত্যুর দিন, তিনদিনা, সাতদিনা, দশদিনা, চল্লিশা ইত্যাদি অনুষ্টান করা ও তাতে খাবার বিতরণ করা মাকরূহে তাহরিমী ও বিদআতী কাজ। তাই এসব থেকে বেচে থাকা একান্ত জরুরী।
(খ)এগুলো যেহেতু নাজায়েজ কাজ তাই এগুলোতে শরিক হয়ে খাওয়াও ঠিক না।
তবে যদি কেউ সমাজে প্রচলিত রুসূম-রেওয়াজ থেকে পুরোপুরি বেঁচে কোন দিন তারিখ নির্দিষ্ট না করে, আল্লাহর ওয়াস্তে মৃত ব্যক্তির ইসালে সাওয়াবের আশায় গরিব-দুঃখিদের খানা খাওয়ায়, তাহলে কোন সমস্যা নেই। আর এই খাবার শুধুমাত্র গরিবদের জন্যই হতে হবে এথেকে ধনীদের খাওয়াতে পারবেনা। কেননা গরিবদের খাওয়ানোর মাধ্যমেই কেবল পূর্ণ সাওয়াবের আশা করা যায়।
শরয়ী দলীল
في رد المحتار (2/ 240) مطلب في كراهة الضيافة من أهل الميت: وقال أيضا: ويكره اتخاذ الضيافة من الطعام من أهل الميت لأنه شرع في السرور لا في الشرور، وهي بدعة مستقبحة: وروى الإمام أحمد وابن ماجه بإسناد صحيح عن جرير بن عبد الله قال ” كنا نعد الاجتماع إلى أهل الميت وصنعهم الطعام من النياحة “. اهـ. وفي البزازية: ويكره اتخاذ الطعام في اليوم الأول والثالث وبعد الأسبوع
প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
১) ফাতাওয়া শামী ২/২৪০
২) ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ১/১৮১
৩) মারাকিল ফালাহ ১২০
৪) এমদাদুল আহকাম ১/১৯০-১৯১
৫) ফাতাওয়া রহিমিয়্যাহ ২/৯১-৯৪
৬) রাহে সুন্নত ২৬৩-২৬৭
والله أعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে
মাওলানা মুহাম্মাদ আরমান সাদিক
ইফতা বিভাগ
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
সার্বিক তত্তাবধানে
মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা.
প্রধান মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
zajakallahu khair…