ফাজায়েলে আমলের ভূমিকায় শায়েখ যাকারিয়া র. কি শিরক করেছেন?
মোঃ আলম
সিলেট
আচ্ছালামু আলাইকুম ।
প্রশ্নঃ মুফতি সাহেব, কথিত আহলে হাদিসরা একটি অভিযোগ করে যে,মাওলানা জাকারিয়া সাহেব নাকি উনার লিখিত ফাযাইলে আমালের ভুমিকায় *বুযুর্গের সন্তুষ্টি বিধাণ আমার পরকালের নাজাতের উপায় হইবে* কথার দ্বারা নাকি শিরক করেছেন । এই কথার ব্যাখ্যা কী ? এটা বলারদ্বারা কী উনি শিরক করেছেন ?
بسم الله الرحمن الرحيم
وعليك السلام و رحمة الله
উত্তরঃ হযরত শায়খ যাকারিয়া র.একজন উচু মাপের বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। পাশাপাশি হাদীস শাস্ত্রে ইলমী খেদমতের কারণে সারা বিশ্বে ‘শাইখুল হাদীস’ বললে তাকে এক নামে চেনে। তার মত এত বড় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানোর কি উদ্দেশ্য আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।
নামধারী আহলে হাদীসদের এরূপ ভিত্তিহীন অভিযোগ তাদের ইলমী দৈন্যতারই পরিচয় বহন করে। এদের কথাই হাদীস শরীফে এসেছে, যারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়েছে আবার অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করছে। চলুন তদের অজ্ঞতাপ্রসুত কথার বিশ্লেষন করা যাক। শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া র. তার লিখিত ফাযাইলে আমালের ভুমিকায় লিখেছেন, “ মুজাদ্দেদীনে ইসলাম ও যামানার ওলামা-মাশায়েখের উজ্জ্বল রত্ম হযরত মাওলানা মুহম্মাদ ইলিয়াস (রহঃ) আমাকে তাবলীগে দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু আয়াত ও হাদীস লিখিয়া পেশ করিতে আদেশ করেন। এইরূপ বুজুর্গগণের সন্তুষ্টি হাসিল করা আমার মত গোনাহগারের জন্য গোনাহ-মাফী ও নাজাতের ওসীলা-এই আশায় দ্রুত রচনা করতঃ এই উপকারী কিতাবখানি খেদমতে পেশ করিতেছি।”
দেখুন,এখানে শায়খ যাকারিয়া র. বুজুর্গগণের সন্তুষ্টিকে নাজাতের উসীলা মনে করেছেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করা নাজায়েয কোন বিষয় না। মানুষকে বৈধ পন্থায় খুশি করা অবশ্যই নেক কাজ।
তারা এখানে কোন কথাকে ‘শিরকী কথা’ বলছে, তা আমাদের কাছে বোধগম্য না। বুজুর্গদের সন্তুষ্টিকে ওসীলা মনে করে শিরক করেছেন, নাকি তাদের সন্তুষ্টি হাসিল করতে চেয়ে শিরক করেছেন?
তাদের কথা অনুযায়ী শায়েখ যাকারিয়া র.যদি বুজুর্গদের সন্তুষ্ট করতে গিয়ে শিরক করে থাকেন। তাহলে আমরা বলব,এখানে উনার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বুজুর্গদের সন্তুষ্ট করা নয় বরং তাদের সন্তুষ্টির ওসীলায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা ও তার ক্ষমা প্রাপ্ত হওয়া। উনার কথা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। উনি লিখেছেন, “এইরূপ বুজুর্গগণের সন্তুষ্টি হাসিল করা আমার মত গোনাহগারের জন্য গোনাহ-মাফী ও নাজাতের ওসীলা” দেখুন উনি বুজুর্গদের সন্তুষ্টিকে নিজের জন্য গোনাহ-মাফী ও নাজাতের ‘ওসীলা’ মনে করছেন। বুজুর্গদের থেকে নাজাতও চাননি, শুধুমাত্র তাদের সন্তুষ্টির লক্ষ্যেও লিখেননি। একথা আমরা সকলেই জানি ‘ওসিলা’ বা ‘মাধ্যম’ কখনো কারো মূল লক্ষ্য হয় না। বরং মূল লক্ষ্য থাকে যেটা অর্জন করার জন্য ওসিলা ধরা হয়েছে সেটা। তো এখানে ওসিলাকে জোর করে তার লক্ষ্য সাব্যস্থ করে তার উপর অভিযোগ উত্থাপিত করা কতটুকু যুক্তি সংগত।
বুজুর্গদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাওয়া কোন শিরকী কাজ না যখন সেই সন্তুষ্টি করতে চাওয়ার পিছনে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করা উদ্দেশ্য হয়। কেননা কোন মুসলমানকে আল্লাহর জন্য ভা্লোবাসা বা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাউকে সন্তুষ্ট করা নেক কাজের অন্তর্ভুক্ত। হাদীস শরীফেও এর প্রমান মেলে।
সুনানে তিরমিজীতে একটি হাদীসে এসেছে,
عن عبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه و سلم قال رضي الرب في رضى الوالد وسخط الرب في سخط الوالد (رواه الترمذي في سننه، رقم 1899)
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা.সূত্রে বর্ণিত,রাসূল সা.বলেছেন,আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টির মাঝে। আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টির মাঝে (তিরমিজী হা.নং ১৮৯৯,মুস্তাদরাকে হাকেম -৭২৪৯)
এ হাদীস তো স্পষ্ট। পিতার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার কথা এসেছে।
অন্যএক হাদীসে এসেছে,
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال تهادوا تحابوا -( رواه البيهقي في سنن الكبرى – رقم -11726
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন,তোমরা আপসের মধ্যে হাদিয়া আদান-প্রদান করো,তাহলে তোমাদের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।’ (বায়হাকী শরীফ, হাদীস নং ১১৭২৬, ৬/১৬৯)
একে অপরকে হাদিয়া দিলে,যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে সে হাদিয়া প্রদানকারীর উপর সন্তুষ্ট হয়; এর ফলে তাদের মাঝে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কাউকে সন্তুষ্টি করা যদি শিরক হয় তাহলে পিতার সন্তুষ্টি অর্জন ও হাদিয়ার মাধ্যমে অন্যদের সন্তুষ্ট করাও তো শিরক হবার কথা। তাহলে কি তারা বলতে চায় রাসূল সা. উম্মতকে শিরক করার ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন।(নাউযুবিল্লাহ)
বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু এদু’টো কাজ করার ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সতরাং নিশ্চিন্তে একথা বলা যায়, বৈধ কোন পন্থায় কোন মুসলমানকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাওয়াও একটি নেককাজ।
আর যদি বুজুর্গদের সন্তুষ্টিকে ‘ওসীলা’ মনে করে শিরক করে থাকেন। অর্থাৎ তার শিরকটা যদি নেক কাজের ওসীলা গ্রহণের কারণে হয়। তাহলে আমরা বলব, নেক কাজ/আমলের ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে কোন কিছু চাওয়ার প্রমাণ সহীহ হাদীসেই এসেছে। এটা শিরক হল কিভাবে?
যেমন বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের গ্রন্থে এসেছে :
أن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول انطلق ثلاثة رهط ممن كان قبلكم حتى أووا المبيت إلى غار فدخلوه فانحدرت صخرة من الجبل فسدت عليهم الغار فقالوا إنه لا ينجيكم من هذه الصخرة إلا أن تدعوا الله بصالح أعمالكم فقال رجل منهم اللهم كان لي أبوان شيخان كبيران وكنت لا أغبق قبلهما أهلا ولا مالا فنأى بي في طلب شيء يوما فلم أرح عليهما حتى ناما فحلبت لهما غبوقهما فوجدتهما نائمين وكرهت أن أغبق قبلهما أهلا أو مالا فلبثت والقدح على يدي أنتظر استيقاظهما حتى برق الفجر فاستيقظا فشربا غبوقهما اللهم إن كنت فعلت ذلك ابتغاء وجهك ففرج عنا ما نحن فيه من هذه الصخرة فانفرجت شيئا لا يستطيعون الخروج قال النبي صلى الله عليه وسلم وقال الآخر اللهم كانت لي بنت عم كانت أحب الناس إلي فأردتها عن نفسها فامتنعت مني حتى ألمت بها سنة من السنين فجاءتني فأعطيتها عشرين ومائة دينار على أن تخلي بيني وبين نفسها ففعلت حتى إذا قدرت عليها قالت لا أحل لك أن تفض الخاتم إلا بحقه فتحرجت من الوقوع عليها فانصرفت عنها وهي أحب الناس إلي وتركت الذهب الذي أعطيتها اللهم إن كنت فعلت ابتغاء وجهك فافرج عنا ما نحن فيه فانفرجت الصخرة غير أنهم لا يستطيعون الخروج منها قال النبي صلى الله عليه وسلم وقال الثالث اللهم إني استأجرت أجراء فأعطيتهم أجرهم غير رجل واحد ترك الذي له وذهب فثمرت أجره حتى كثرت منه الأموال فجاءني بعد حين فقال يا عبد الله أد إلي أجري فقلت له كل ما ترى من أجرك من الإبل والبقر والغنم والرقيق فقال يا عبد الله لا تستهزئ بي فقلت إني لا أستهزئ بك فأخذه كله فاستاقه فلم يترك منه شيئا اللهم فإن كنت فعلت ذلك ابتغاء وجهك فافرج عنا ما نحن فيه فانفرجت الصخرة فخرجوا يمشون(رواه البخاري – رقم: 2272 و مسلم – رقم:2743)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্বের যুগে তিন ব্যক্তির একটি দল কোথাও যাত্রা করেছিল, যাত্রাপথে রাত যাপনের জন্য একটি গুহাতে তারা আগমন করে এবং তাতে প্রবেশ করে। আকস্মাৎ পাহাড় থেকে একটি পাথর খসে পড়ে এবং তাদের উপর গুহামুখ বন্ধ করে দেয়। এমন অসহায় অবস্থায় তারা বলাবলি করছিল, ’তোমাদেরকে এ পাথর হতে মুক্ত করতে পারবে এমন কিছুই হয়ত নেই। তবে যদি তোমরা নিজ নিজ নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া কর তাহলে হয়ত নাজাত পেতে পার।’
তাদের একজন বলল: হে আল্লাহ! আমার বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিলেন, আমি তাদেরকে দেওয়ার পূর্বে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য স্ত্রী-সন্তান ও গোলাম-পরিচারকদের কাউকে রাতের খাবার – দুগ্ধ – পেশ করতাম না। একদিনের ঘটনা: ঘাসাচ্ছাদিত চারণভূমির অনুসন্ধানে বের হয়ে বহু দূরে চলে গেলাম। আমার ফেরার পূর্বেই তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আমি তাদের জন্য -রাতের খাবার – দুগ্ধ দোহন করলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম তারা ঘুমাচ্ছেন। তাদের আগে পরিবারের কাউকে-স্ত্রী-সন্তান বা মালিকানাধীন গোলাম-পরিচারকদের দুধ দেয়াকে অপছন্দ করলাম। আমি পেয়ালা হাতে তাদের জাগ্রত হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম, এতেই সকাল হয়ে গেল। অতঃপর তারা জাগ্রত হলেন এবং তাদের রাতের খাবার-দুধ পান করলেন। হে আল্লাহ ! আমি এ খেদমত যদি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে এ পাথরের মুসিবত হতে আমাদের মুক্তি দিন। তার এই দোয়ার ফলে পাথর সামান্য সরে গেল, কিন্তু তাদের বের হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অপর ব্যক্তি বলল : হে আল্লাহ ! আমার একজন চাচাতো বোন ছিল, সে ছিল আমার নিকট সকল মানুষের চেয়ে প্রিয়। আমি তাকে পাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম। সে আমাকে প্রত্যাখ্যান করল এবং আমার থেকে দূরে সরে থাকল। পরে কোন এক সময় দুর্ভিক্ষ তাড়িত ও অভাবগ্রস্ত হয়ে আমার কাছে ঋণের জন্য আসে, আমি তাকে একশত বিশ দিরহাম দিই, এ শর্তে যে, আমার এবং তার মাঝখানের বাধা দূর করে দেবে। সে তাতে রাজি হল। আমি যখন তার উপর সক্ষম হলাম, সে বলল: অবৈধ ভাবে সতীচ্ছেদ করার অনুমতি দিচ্ছি না, তবে বৈধভাবে হলে ভিন্ন কথা। আমি তার কাছ থেকে ফিরে আসলাম। অথচ তখনও সে আমার নিকট সবার চেয়ে প্রিয় ছিল। যে স্বর্ণ-মুদ্রা আমি তাকে দিয়েছিলাম, তা পরিত্যাগ করলাম। হে আল্লাহ ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে আমরা যে বিপদে আছি, তা হতে মুক্তি দাও। পাথর সরে গেল, তবে এখনও তাদের বের হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট হল না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম, অতঃপর তাদের পাওনা তাদের দিয়ে দেই। তবে এক ব্যক্তি ব্যতীত, সে নিজের মজুরি রেখে চলে যায়। আমি তার মজুরি বার বার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছি। যার ফলে সম্পদ অনেক বৃদ্ধি পায়। অনেক দিন পরে সে আমার কাছে এসে বলে, ‘হে আল্লাহর বান্দা! আমার মজুরি পরিশোধ কর।’ আমি তাকে বললাম, ‘তুমি যা কিছু দেখছ, উট-গরু,বকরী-গোলাম, সব তোমার মজুরি।’ সে বলল : হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার সাথে উপহাস করো না। আমি বললাম, ‘উপহাস করছি না।’ অতঃপর সে সবগুলো গ্রহণ করল এবং তা হাঁকিয়ে নিয়ে গেল। কিছুই রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে আমরা যে বিপদে আছি তা হতে মুক্তি দাও। পাথর সরে গেল। তারা সকলে নিরাপদে হেঁটে বের হয়ে আসল। (সহীহ বুখারী, হা.২২৭২ ও মুসলিম, হা. ২৭৪৩)
এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম, নিজের সৎকর্মসমূহের মধ্যে যে কাজটি সুন্দর ও নির্ভেজাল আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত, তার ‘ওসীলায়’ দু’আ করা হয়েছে এবং দু’আ কবুলও হয়েছে। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে নিজের নেক আমলের ‘ওসীলা’ দিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু কামনা করা জায়েয।
শায়খ যাকারিয়া র. তো একাজটিই করেছেন। বুজুর্গদের সন্তুষ্টি হাসিলকে ওসিলা বানিয়ে আল্লাহর মাফী ও জাহান্নাম থেকে নাজাত কামনা করছেন। এখানে তার দোষটা হল কি? তিনি হাদীস অনুযায়ী কাজ করেও শিরক করলেন কিভাবে? আল্লাহ তাআলা আমদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে
মাওলানা মুহাম্মাদ আরমান সাদিক
ইফতা বিভাগ
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
সার্বিক তত্তাবধানে
মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা.
প্রধান মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
ইমেইল-jamiatulasad@gmail.com