নামাজের পূর্বাপর সুন্নতে মুয়াক্কাদাসমূহ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বাপর বার রাকাত নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা
# ফজরের পূর্বে দু’রাকাত
# যোহরের পূর্বে চার রাকাত
# যোহরের পর দু’রাকাত
# মাগরিবের পর দু’রাকাত
# ইশার পর দু’রাকাত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
حدثنا محمد بن رافع، قال: حدثنا إسحاق بن سليمان الرازي، قال: حدثنا المغيرة بن زياد، عن عطاء، عن عائشة، قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من ثابر على ثنتي عشرة ركعة من السنة بنى الله له بيتا في الجنة: أربع ركعات قبل الظهر، وركعتين بعدها، وركعتين بعد المغرب، وركعتين بعد العشاء، وركعتين قبل الفجر.
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি বার রাকাত সুন্নত আদায়ের ক্ষেত্রে অবিচল থাকবে। আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন। যোহরের পূর্বে চার রাকাত। যোহরের পর দু’রাকাত। মাগরিবের পর দু’রাকাত, ইশার পর দু’রাকাত এবং ফজরের পূর্বে দু’রাকাত।
(তিরমিযী: ১/৫৩৭, হাদীস নং-৪১৪)
আরো বর্ণিত রয়েছে,
وحدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن النعمان بن سالم، عن عمرو بن أوس، عن عنبسة بن أبي سفيان، عن أم حبيبة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم، أنها قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: ্রما من عبد مسلم يصلي لله كل يوم ثنتي عشرة ركعة تطوعا، غير فريضة، إلا بنى الله له بيتا في الجنة، أو إلا بني له بيت في الجنة قالت أم حبيبة: فما برحت أصليهن بعد وقال عمرو:ما برحت أصليهن بعد، وقال النعمان مثل ذلك.
অর্থাৎ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিবি হযরত উম্মে হাবীবা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি ইরশাদ করেন, যে কোন মুসলমান নির্ধারিত ফরজ নামাজ ব্যতিত প্রতিনিয়ত বার রাকাত নফল নামাজ পড়বে, জান্নাতে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করবেন। অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মিত হবে। অতপর হযরত উম্মে হাবীবা রা. বলেন, এরপর থেকে আমি এ বার রাকাত নামাজ না পড়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হতাম না। হযরত আমর রা. ও হযরত নুমান রা. থেকেও এরূপ উক্তি বর্ণিত।
(সহীহ মুসলিম:১/৫০৩, হাদীস নং-৭২৮)
আরো বর্ণিত রয়েছে,
حدثنا يحيى بن يحيى، أخبرنا هشيم، عن خالد، عن عبد الله بن شقيق، قال: سألت عائشة عن صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم، عن تطوعه؟ فقالت: ্রكان يصلي في بيتي قبل الظهر أربعا، ثم يخرج فيصلي بالناس، ثم يدخل فيصلي ركعتين، وكان يصلي بالناس المغرب، ثم يدخل فيصلي ركعتين، ويصلي بالناس العشاء، ويدخل بيتي فيصلي ركعتين، وكان يصلي من الليل تسع ركعات فيهن الوتر، وكان يصلي ليلا طويلا قائما، وليلا طويلا قاعدا، وكان إذا قرأ وهو قائم ركع وسجد وهو قائم، وإذا قرأ قاعدا ركع وسجد وهو قاعد، وكان إذا طلع الفجر صلى ركعتين
অর্থাৎ, হযরত আয়েশা রা. কে রাসূল সা. এর নফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তিনি নিজ ঘরে যোহরপূর্ব চার রাকাত নামাজ পড়ে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেন। অতপর আবার ঘরে এসে দু’রাকাত (যোহর পরবর্তী সুন্নত) নামাজ পড়তেন। এরপর (আসর নামাজ পড়ে) মানুষের সাথে মাগরিবের নামাজ পড়তেন। পুনরায় যখন ঘরে আসতেন, দু’রাকাত (মাগরিব পরবর্তী সুন্নত) পড়তেন। এভাবে ইশার নামাজ আদায় করে ঘরে এসে দু’রাকাত (ইশা পরবর্তী সুন্নত) পড়তেন। আবার রাতে বিতিরসহ তিন রাকাত পড়তেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে ও বসে বসেও নামাজ আদায় করতেন। রাত শেষে ফজরের পূর্বে আবার দু’রাকাত (ফজরপূর্ব সুন্নত) নামাজ আদায় করতেন।
(মুসলিম: ১/৫০৪, হাদীস নং-১০৫, আবু দাউদ: ২/১৮, হাদীস নং-১৫২)