নামাযের পরবর্তী ফজিলতপূর্ণ মাসনূন দোয়াসমূহ
১. أستغفر الله، أستغفر الله، أستغفر الله “আসতাগফিরুল্লাহ।” (৩ বার) (মুসনাদে আহমাদ: ৩৭/৯১, হাদীস নং-২২৪০৮)
২. اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام (১ বার) (সহীহ মুসলিম: ১/৪১৪, হাদীস নং-৫৯১)
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।”
৩. سبحان الله “সুবহানাল্লাহ” (৩৩ বার।)
৪. الحمد لله “আলহামদুলিল্লাহ” (৩৩ বার।)
৫. الله اكبر “আল্লাহু আকবার” (৩৩ বা ৩৪ বার।) (মুসলিম: ১/২৯১)
৬.لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، اللَّهُمَّ لا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ ، وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ ،، (১ বার) (সহীহ বুখারী: ১/২১৮)
বাংলা উচ্চারণ: “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই-ইন কাদীর।”
৭. اللهم أعني على ذكرك و شكرك و حسن عبادتك (প্রতি নামাযের পর কয়েক বার।) (আবু দাউদ: ১/২১৩)
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আ’ইন্নী আল্লা জিকরিকা ওয়াশুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।”
৮. سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ ، وَزِنَةِ عَرْشِهِ ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ (প্রতি নামাযের পর ৩ বার।)
(মুসলিম: ২/৩৫০)
বাংলা উচ্চারণ: “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী আদাদা খলকিহী ওয়ারিদা নাফসিহী ওয়াযিনাতা আরশিহী ওয়ামিদাদা কালিমাতিহী।”
সকাল-সন্ধ্যার আমলসমূহ
৯. رضيت بالله ربا و بالإسلام دينا و بمحمد نبيا إلا كان حقا على الله أن يرضيه (সন্ধ্যার সময় পড়া।) (তিরমিযী: ২/১৭৬)
বাংলা উচ্চারণ: “রদিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন সা. নাবিয়্যা, ইল্লা কানা হাক্কান আলাল্লাহ আইঁ-য়ুরদিয়াহু।”
১০.اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَى وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ (সকালে পড়া।) (তিরমিযী: ২/১৭৬)
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা, ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহয়া ওয়াবিকা নামূতু ওয়া-ইলাইকান নুশূর।”
১১. اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَى وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ. (সন্ধ্যায় পড়া।) (তিরমিযী: ২/১৭৬)
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা বিকা আমসাইনা, ওয়াবিকা আসবাহনা ওয়াবিকা নাহয়া ওয়াবিকা নামূতু ওয়া-ইলাইকান নুশূর।”
১২. قُلَ اللَّهُمَّ ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ، فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إلَهَ إلاَّ أَنْتَ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنَ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ (সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করা।) (তিরমিযী: ২/১৭৬)
বাংলা উচ্চারণ: “কুলিল্লাহুম্মা আলিমাল গাইবি ওয়াশশাহাদাতি, ফাতিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রব্বা কুল্লা শাই-ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লা আনতা, আঊযূবিকা মিন শাররি নাফসী ওয়ামিনাশ শায়তানি ওয়া শিরকিহী।”
১৩. اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ ، وَأَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ.
(সকাল বা সন্ধ্যায় পাঠ করা।) (আবু দাউদ, পৃ. ৬৯১, ইবনে মাযাহ. পৃ. ২৮৬)
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, খদাকতানী ওয়া আনা আবদিকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু, আঊযুবিকা মিন শাররি মা- ছনা’তু, ওয়া আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিজাম্বী, ফাগফিরদী ফা-ইন্নাহু লা য়াগফিরুজ জুনূবা ইল্লা আনতা।”
১৪. اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ (ফজর ও মাগরিবের নামায শেষ করে ৭ বার পড়া।) (আবু দাউদ. পৃ. ৬৯৩)
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার।
১৫. اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّى أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
(নামায শেষ করে পাঠ করা।) (আবু দাউদ: ১/২১২)
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মাগফিরলী মা- কদ্দামতু, ওয়া মা-আখখারতু ওয়া মা- আসরারতু ওয়া মা- আ’লানতু ওয়া মা- আসরাফতু ওয়ামা- আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী, আনতাল মুকাদ্দামু ওয়া আনতাল মুআখখারু, লা- ইলাহা ইল্লা আনতা।”
১৬. প্রতি নামাযের পর আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারা: ২৫৫ নং আয়াত দ্রষ্টব্য) পাঠ করা।
(আমালুল ইয়াউম ওয়াল লাইলাহ: ১/১১০, হাদীস নং-১২৪)
১৭. সকাল-সন্ধ্যা أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ৩ বার পড়ে, সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত পাঠ করা।
(মুসনাদে আহমাদ: ৩৩/৪২১, হাদীস নং-২০৩০৬)