শাড়ী পরে নামায আদায় প্রসঙ্গে
প্রশ্ন: ইসলামের দৃষ্টিতে শাড়ী পরিধান করা কি জায়েয? এবং শাড়ী পরিধান করে নামায পড়লে নামায আদায় হবে কী?
উত্তর: নামায পরিশুদ্ধ করে পড়ার জন্য এমন পোশাক বাছাই করা জরুরী, যার দ্বারা নামাযে সতরের অন্তর্ভূক্ত অঙ্গগুলো যেন ঢেকে থাকে। যেমন মহিলাদের জন্য নামাযের মধ্যকার সতর হলো, পুরো শরীর। তবে পূর্ণ চেহারা (চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নিচ ও এক কানের লতী থেকে আরেক কানের লতী পর্যন্ত) কব্জি থেকে উভয় হাতের তালু ও উল্টাপিঠ এবং উভয় পা এর টাখনু থেকে পায়ের পাতা ও উল্টাপিঠ সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়। (যেহেতু সাধারণতঃ শুধু শাড়ী পরিধানের মাধ্যমে পূর্ণ সতর ঢাকা সম্ভব হয় না) তাই যদি শাড়ীর সাথে এমন কোন কাপড় পরিহিত অবস্থায় নামায আদায় করে, যার দ্বারা সতরের অঙ্গসমূহ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে থাকে। তাহলে শাড়ী পরে নামায পড়লেও নামায আদায় হয়ে যাবে। আর এ কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন যে, শাড়ী পরার মাধ্যমে যেহেতু যমিন থেকে পর্দা করা যায় না, সেহেতু তা পরিধান করে নামায পরলে নামায আদায় হবে না। বরং পর্দার হুকুম তো আরোপিত হয়েছে মানুষকে কেন্দ্র করে। যমিনকে উদ্দেশ্য করে নয়!
প্রামাণ্য গ্রন্থাবলী:
(বাদায়েউস সানায়ে’: ১/১১৬
আল মুহীতুল বুরহানী: ১/২৭৮-২৮০
আল বাহরুর রায়েক: ১/২৯০
ফতাওয়া শামী: ১/৪০৪
কিতাবুল ফতাওয়া: ২/২২৫)
-(মুফতী) হাফীজুদ্দীন
মুহাদ্দিস, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ
পরিচালক, জামিয়াতুল আস’আদ আল ইসলামিয়া, রামপুরা, ঢাকা