ইফরাদ ও কিরান হজ্জের ধারাবাহিক আমলসমূহ
কিরান হজ্জের ধারাবাহিক আমলসমূহ
১. উমরা ও হজ্জের নিয়তে একত্রে ইহরাম করা। (এটি ফরজ)
২. উমরার তাওয়াফ করা । (পূর্বের বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী) (এটি ফরজ)
৩. উমরার সাঈ করা । (এটি ওয়াজিব)
৪. তাওয়াফে কুদূম করা। (এটি সুন্নত)
৫. তাওয়াফে কুদূমের পর হজ্জের সাঈ করা । (এটি ওয়াজিব)
উমরা ও হজ্জের নিয়তে একত্রে ইহরাম করার বিবরণ:
এ আমলটি ফরয। এভাবে নিয়ত করতে হবে যে, “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে একত্রে উমরাহ ও হজ্জ পালনের নিয়ত করছি। আমার জন্য তা সহজ করুন এবং কবুল করুন।” ইহরামের পূর্ব প্রস্তুতি ও অন্যান্য নিয়ম আগের মতোই। জিদ্দা থেকে মক্কা গেলে করনুল মানাযিল ও যাতু ইরকের মাঝ বরাবর স্থান থেকে বা এর আগেই ইহরাম সম্পন্ন করতে হয়। আর সরাসরি মদীনায় গেলে সেখানের মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে।
উমরার তাওয়াফের বিবরণ:
পূর্বে বর্ণিত নিয়মে আদায় করা ফরয। এক্ষেত্রে তালবিয়া বন্ধ করা ঠিক না। কিছুক্ষণ পরপর তালবিয়া পাঠ করতে হবে। কেননা কিরান হজ্জকারীর জন্য ইহরামের পর থেকে ১০ তারিখ বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবিয়া পড়তে থাকা নিয়ম।
উমরায় সাঈ’র বিবরণ:
এ আমলটি ওয়াজিব। তবে এরপর চুল কাটা নিষেধ। অর্থাৎ ইহরাম ত্যাগ করা যাবে না। কেননা এই ইহরামেই তো হজ্জ আদায় করতে হবে।
তাওয়াফে কুদূম এর বিবরণ:
এ আমলটি সুন্নত। মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে কিরান হজ্জকারী তাওয়াফে কুদূমের নিয়তে একটি তাওয়াফ করবেন। এ তাওয়াফের পর হজ্জের সাঈ আদায় করলে তাওয়াফে পুরুষকে ইযতিবা ও রমলসহ আদায় করতে হবে। আর হজ্জের সাঈ আদায় না করলে এ তাওয়াফে ইযতিবা ও রমল করবে না। উত্তম হলো সাঈ এখন না করে, তাওয়াফে যিয়ারতের পর করা।
তাওয়াফে কুদূমের পর হজ্জের সাঈর বিবরণ:
এ আমলটি ওয়াবিজ। তবে সাঈ এখন না করে তাওয়াফে যিয়ারতের পর করাই উত্তম। এরপর ৮ তারিখ থেকে কিরানকারীর হজ্জের সব আমল তামাত্তু হজ্জের মতোই। যেমনটা দিবস উল্লেখ করে উপরে বিস্তারিত বিবরণ গিয়েছে।
ইফরাদ হজ্জের ধারাবাহিক আমলসমূহ
১. মীকাত থেকে শুধু হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধা । (এটি ফরজ)
২. মক্কা শরীফে পৌঁছে তাওয়াফে কুদূম করা। (এটি সুন্নত)
৩. হজ্জের সাঈ করা। (এটি ওয়াজিব) আর এ সাঈ তাওয়াফে যিয়ারতের পরে করা উত্তম।
বিঃ দ্রঃ এরপর হজ্জের ৫ দিনের আমল প্রায় একই। পূর্ববর্তী বর্ণনা থেকে দেখে নিলে ভাল হবে।