আসুন বন্যার্ত দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াই
ইসলাম মানবতার ধর্ম। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবতার নবী। তাই তিনি মানবতার সবক বিশ্ববাসীকে প্রদান করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি সবসময় দুঃখী মানুষের পাশে ছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার খেদমত করতে সামান্যতম দ্বিধাবোধ করেন নি। তাই দেখা যায় যে, মক্কার দুর্ভিক্ষের সময় তিনি মদীনা শরীফ থেকে ত্রান পাঠিয়ে ছিলেন। অথচ মক্কাবাসী সে সময় তাঁকে নিজের মাতৃভূমী মক্কানগরী থেকে হিজরত করতে বাধ্য করেছিল। অন্তরের ব্যথা নিয়েই সেদিন তিনি মদীনায় হিজরত করেছিলেন। তা সত্ত্বেও সব দুঃখ ভুলে যখন জানতে পারলেন মক্কাবাসী দুর্ভিক্ষের কারণে না খেয়ে আছে তখন তিনি সাহায্য স্বরূপ পাঁচশত দিনার পাঠিয়ে ছিলেন। ( শরহুস সিয়ারিল কাবীর, সারখসী)
তাই সকল মুসলিমের উচিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই কর্ম থেকে শিক্ষা নেয়া এবং সে মর্মে বন্যাদুর্গত, দুঃখী অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো।
প্রত্যেকেই পারি নিজ নিজ সাধ্য ও সামর্থানুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়াতে। যে সব এলাকায় অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তাদের আমরা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করতে পারি।
১। যাদের বসত ঘর ভেঙ্গে গেছে তা মেরামতে সহযোগিতা করতে পারি।
২। এখন তাদের কাছে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব, তাই বিশুদ্ধ খাবার পানি, ফিটকেরি, স্যালাইন ইত্যাদি সরবরাহ করতে পারি।
৩। অনাহারে দিনপাতকারীদের খাদ্য সামগ্রী পৌছাতে পারি।
৪। ক্ষতিগ্রস্থদের নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারি।
৫। ক্ষতিগ্রস্থ মাদরাসা, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি সংস্কারের জন্য সাহায্য করতে পারি।
এছাড়াও তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কওন ধরণের সমস্যায় আমরা দরদী-হিতাকাঙ্খী হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাউফিকা দান করুন। আমীন।