মুফতী হাফীজুদ্দীন দা.বা. এর বয়ান। স্থান : ঐতিহ্যবাহী জামিয়া রশিদিয়া, ফেনী
ঐতিহ্যবাহী জামিয়া রশিদিয়া, ফেনী
ফেনী জেলার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা “জামিয়া রশিদিয়া”। যেখানে প্রায় ৪,৫০০ ছাত্র আছে। আল্লামা মুফতী শহিদুল্লাহ সাহেবের তত্ত্বাবধানে জামিয়াটি দ্বীনের অনেক কাজ আঞ্জাম দিচ্ছে। অত্র জামিয়ায় ৩ এপ্রিল ২০১৭ইং রোজ সোমবার বাদ যোহর ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বয়ান পেশ করেন মুফতী হাফীজুদ্দীন সাহেব দা.বা.। অনুলিখন : মুফতী মোস্তফা কামাল
মিল্লাতে ইবরাহীমকে বরণ করা জ্ঞানীদের কাজ
الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذى نصطفى. اما بعد. فاعوذ بالله من الشيطان الرجيم. بسم الله الرحمن الرحيم. ومن يرغب عن ملة ابراهيم ألا من سفه نفسه ,ولقد اصطفينه فى الدنيا, وانه فى الآخرة لمن الصالحين.
হযরত আসাতিযায়ে কেরাম ও প্রিয় ছাত্র ভাইয়েরা! মিল্লাতে ইবরাহীমকে বরণ করা, মনে প্রাণে মেনে নেয়া ও সে মোতাবিক জীবনযাপন করা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষের কাজ। আর এর বিপরীত পথ ও মত গ্রহণ করা হলো নির্বোধ ও বোকা মানুষের কাজ। তাই ইরশাদ হচ্ছে,
ومن يرغب عن ملة ابراهيم إلا من سفه نفسه, ولقد اصطفينه فى الدنيا, وانه فى الآخرة لمن الصالحين.
অর্থাৎ, “যে নিজেকে নির্বোধ করেছে, সে ব্যতীত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ হতে আর কে বিমুখ হবে! পৃথিবীতে তাকে আমি মনোনীত করেছি; আর আখিরাতেও সে অবশ্যই সৎকর্ম পরায়ণগণের অন্যতম।” (সূরা বাকারা: ১৩০)
মিল্লাতে ইবরাহীম এর সারকথা
মিল্লাতে ইবরাহীম এর সারকথা হলো তিনটি- ১. তাওহীদ ২. রিসালাত ৩.আখেরাত
এই তিনটি বিষয়ের জ্ঞান ইলমই কওমী মাদরাসায় শিক্ষা দেয়া হয়। সুতরাং কওমী মাদরাসার শিক্ষা হল আল্লাহ তা’আলার নির্বাচিত জ্ঞানী লোকদের শিক্ষা। তোমরা কখনো হিনমন্যতার স্বীকার হবে না। বরং দিলে প্রাণে এই শিক্ষা অর্জন করা এবং সে মোতাবেক জীবন যাপন করাকে নিজের জীবনের পরম সফলতা ও সৌভাগ্য মনে করবে।
এ শিক্ষার বিচরণক্ষেত্র
পাখি পিঞ্জিরায় থাকতে অপছন্দ করে, মাছ ডাঙায় থাকতে অপছন্দ করে, কিন্তু সব পাখিই খালি ফেজা ও উন্মুক্ত আকাশ ও পরিবেশ পেলে আনন্দিত হয় এবং প্রতিটি মাছ উন্মুক্ত পানি পেলে আনন্দিত হয়। ঠিক তোমাদেরও মিল্লাতে ইবরাহীমীর শিক্ষাকে, এই পরিবেশকে- সাগর ও উন্মুক্ত বিচরণক্ষেত্র মনে করে আনন্দের সাথে বরণ করে নাও। তোমাদের এই শিক্ষার বিচরণক্ষেত্র শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্ব ও পুরো পৃথিবীই শুধু নয় বরং তার বিচরণক্ষেত্র দুনিয়া, কবর, হাশর-নশর ও আখেরাতসহ সবকিছু পরিব্যপ্ত। আল্লাহ সবাইকে এই লাইনে কামিয়াবী দান করুন। আমিন। ওয়া-আখিরু দা’ওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
(উল্লেখ্য যে, এই সফরে মুফতী সাহেব আরো কয়েকটি মাদরাসা পরিদর্শন করেন। ‘জামিয়া মাদানিয়া’, ‘দাগনভূইয়াঁ আশরাফুল উলুম মাদরাসা’ ও সর্বশেষ ‘চণ্ডিপুর মাদরাসা’য় বাদ মাগরিব এলাকাবাসী, ওলামা ও তালাবাদের উদ্দেশ্যে ইসলাহী বয়ান ও দু’আ করে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন।)
মাশা-আল্লাহ! হযরতের বায়ানের আরও অনেক অনুলিখন চাই।