বিপন্ন মানবতা : উত্তরণের উপায়
দয়া, মায়া, ভালবাসা ও মানবিকতা আল্লাহপ্রদত্ত বিরাট এক নেয়ামত এবং বনী আদমের বিশেষ গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত। এসব গুণাবলী বনী আদমকে সর্বক্ষণ উদার, সহনশীল ও মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করে। উদ্বুদ্ধ করে পরোপকার, মানবসেবা ও নিঃস্বার্থবাদী হতে। সন্তানের প্রতি বাবা-মা’র ভালবাসা, বাবা-মা’র প্রতি সন্তানের ভালোবাসা, স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা ইত্যাদি মানবিকতার উৎকৃষ্ট পরিচয় বহন করছে। এমনিভাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের গ-ি পেরিয়ে সমগ্র বিশ্বমানবতার জন্য কল্যাণকামী হওয়া ইসলাম ও ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ সা. এর অন্যতম শিক্ষা। ইসলাম মানুষকে কল্যাণকামী ও মানবিকতার সবক দেয়। ইসলামের শাশ্বত বিধানাবলী ও হযরত মুহাম্মাদ সা. এর পবিত্র জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মানবতা ও কল্যাণকামিতার অসংখ্য উপমা।
হযরত মুহাম্মাদ সা. বলেন, “আমি তোমাদের বিশ্বস্ত কল্যাণকামী।” তিনি আরো বলেন, “আমি উন্নত চরিত্রের পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।” কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, আজ গোটা বিশ্বে মানবিকতা সর্বাধিক হারে বিপন্ন হচ্ছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে পরিলক্ষিত হচ্ছে বিপন্ন মানবতার ভয়াল চিত্র। মানবতাবিধ্বংসী কর্মকা-ের বন্যা বয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। মানুষগুলো পশু ও হায়েনার মত ছিড়ে ফেরে খাচ্ছে বিশ্বমানবতাকে। মানবতা খুঁজে ফিরছে শান্তির ঠিকানা। কিন্তু কোথাও কি আছে শান্তির কাঙ্খিত ঠিকানা? আছে কি কোথাও মাথা গোজার সামান্য আশ্রয়?
হ্যাঁ, এরচেয়ে আরো চরম বিপর্যস্ত ও অবহেলিত এবং মৃতপ্রায় মানবতাকে যে মহান সত্ত্বা মুক্তির সনদ দিয়েছেন তাঁরই জীবনীতে রয়েছে বিশ্বমানবতার মুক্তির সার্বজনীন ব্যবস্থা। কাজেই একবিংশ শতাব্দীর বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্বমানবতাকে আহ্বান জানাই হযরত মুহাম্মাদ সা. এর পূর্ণ অনুসারী হতে।