হায়রে মানবতা!
মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মাদ সা. এসেছিলেন সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে। রেখে দিয়েছেন তাঁর উত্তম আদর্শ। যে আদর্শের হাত ধরে হাজার বছর নয়, সারা জীবন চলতে পারবো ইচ্ছে করলেই। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় বান্দাদের মন দেখেন, পোশাক নয়, সম্পদ নয়, নয় বর্ণ। আমার পূর্ণ দেহ যার ইশারায় গঠিত, তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জন আমার মনের একমাত্র খোরাক। অন্তত তাঁর সন্তুষ্টির লক্ষ্যেই উচিৎ আমার দেহ-মনকে বৈধ পন্থায় পরিচালনা করা।
সে নির্ধারিত পথ ও পন্থা আমাদের সামনে আজ সুস্পষ্ট। শুধু দরকার নিজেকে তৈরী করা, নিজের মনকে তৈরী করে নেয়া। কত সুবিশাল এই পৃথিবী। বেঁচে থাকতে হলে মানুষের সাথে মিশতে আমাকে হবেই। কর্মক্ষেত্রে ছোট-বড় সবার মন রক্ষা করে আমাকে এগিয়ে যেতে হবেই। সুদীর্ঘ এ পথ চলার পথে আমাকে হতে হবে আগামী পৃথিবীর আদর্শ। হতে হবে মানুষের মত মানুষ! মানুষের মাঝে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে হবে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে।
প্রিয় মুসলিম ভাই! আমরা মুসলমান। আল্লাহর গোলমী করার জন্যই সৃজিত। সেই স্বীকারোক্তি পেশ করেই পৃথিবীর বুকে পা দিয়েছি। কিন্তু আফসোস! আজ আমি আমার ওয়াদা ভঙ্গ করে আল্লাহর ভয় অন্তর থেকে বের করে দিয়ে, বেছে নিয়েছি জুলুম-অত্যাচারের দুর্গম পথ; যার ভবিষ্যৎ অন্ধকার! হারিয়ে ফেলছি মানবতা, প্রদর্শন করছি শুধুই ধৃষ্টতা!
একদিন যখন আমাকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে, তাহলে কেন অপমৃত্যুর অপেক্ষা করছি? কেন জুলুম-অত্যাচার ও ধোকার পথ বেছে নিয়েছি? মৃত্যুর পর আমাকেও তো দাঁড়াতে হবে বিচারের কাঠগড়ায়। তবে কোন্ সাহসে করছি এসব! এখনও সময় আছে, মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য তওবার দরজা খুলে রেখেছেন। আসুন, আজই তওবা করে নেই। মানবতা রক্ষার্থে এগিয়ে আসি। মেনে চলি আল্লাহ তা’আলার হুকুম। আঁকড়ে ধরি রাসূল সা. এর অনুপম আদর্শ। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বান্দার হক যথাযথভাবে আদায় করার তাওফীক দান করুন। আমীন।