রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেভাবে কাজ করছেন উলামায়ে কেরাম-৩
আলেমদের নির্মাণাধীন মসজিদ
তবে রোহিঙ্গাদের এখনকার মানসিকতা হলো, নির্যাতনের শিকার হতে হতে তারা অনেকটাই নিষ্পৃহ হয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ বাংলাদেশ তাদের খাওয়াচ্ছে। সরকারের প্রশংসা করছে। তবে মনে মনে তো তারা নিজ দেশের স্বাধীনতা কামনা করতে ছাড়েনি। এই খুপড়ি ঘরে তো সারাজীবন কাটানো সম্ভব নয়।আমরা নো ম্যান্স ল্যান্ডে গিয়েছিলাম- সেখানে একটা খালের পাড়ে সাড়ে ১২শ পরিবার রয়েছে। তারা বাংলাদেশে আসছে না এ অপেক্ষায় কোনো রকম আশ্বাস পেলেই যারা নিজ দেশে চলে যাবে। তাদের সামনে তো এ বিষয়টা পরিষ্কার আমাদের বাড়ি ঘর আছে, জমি জমা আছে এসব ছেড়ে আমরা বাংলাদেশের পাহাড়ে ঘুপের আড়ালে আছি।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে কোনো নেতা তৈরি হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নে মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন বলেন, মিয়ানমারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। সেখানকার ১ লাখ টাকা বাংলাদেশে সাড়ে তিন কি চার হাজার টাকা হয়। একটা চলনসই মুরগির দাম দশ হাজার টাকা।সেই অর্থনীতির বাজারে রোহিঙ্গাদের টিকে থাকার গল্প আরও ভিন্ন। তাদের সরকারি ভাবে শিক্ষা বন্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। ২০১২ সাল থেকে কোনো মাদরাসা সেখানে চলতে পারে না। তারা নিজ শহরের বাইরে গিয়েও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে না। নিজ দেশেই তারা একঘরে করে রাখার মতো অবস্থায়।
তারা যেন প্রতিরোধ করতে না পারে এ জন্য বাড়িতে একটা ছোট্ট ছুরিও রাখতে দেয় না। এখান থেকে কিভাবে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। এছাড়াও তাদের পেছনে সার্বক্ষণিক নাসাকা বাহিনী লেগে আছে। তাদের অর্থ ফসলে অর্ধেক ভাগ তাদের দিয়ে দিতে হয়। এভাবে একটা জাতি টিকে থাকা এবং সেখানে ভালো নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার আশা করা বোকামি। এ অবস্থার মধ্যে তারা ঘুরে দাঁড়াবে এটা কল্পনা করা বাতুলতা।সেখানে আরসা বলতে যেটা বলা হচ্ছে, আমরা উলামায়ে কেরামের কাছে আলাপে জানতে পারলাম, তারা বললেন- এটাও মিয়ানমারের আর্মির সৃষ্টি। না হলে কেন তারা উমুক জায়গায় তমুক জায়গায় একটা ঢিল মেরে লাখো মানুষের সমস্যা করবে? শক্তি সামর্থ না নিয়ে কেন লাখো মানুষকে বিপদে ফেলতে মাঠে নামবে।
আরাকানি আলেমরা বলেন, আমাদের হাতে যেখানে কেউ গুলি ছুড়লে সেটা রক্ষার জন্য একটা কাঠও হাতে নেই এই অবস্থায় আমরা কি আমাদের শিশু নারীদের রেখে লড়াই করবো?
সূত্র : OURISLAM24.COM