ব্যাংকে ইমামতি করার বিধান
প্রশ্নঃ মাদরাসার আধা পড়ুয়া, অধ্যয়নরত এবং হাতেগুনা কতিপয় আলেমগণও ঢাকা সিটির বিভিন্ন ব্যাংকে (যেমনঃ শিল্প ব্যংক,আই এফ আই সি ব্যংক ইত্যাদি।) অফিস টাইমে নিয়মিত জোহর,আসর,মাগরিবের নামাজ সমূহ আদায় করান। অর্থাৎ ব্যাংকের স্টাফদের ইমামতি করেন। সে হিসাবে মাস শেষে ইমামগনকে বেতন প্রদান করা হয়। জানার বিষয় হল, ব্যাংক এবং এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইমামতি করার ক্ষেত্রে কুরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা? না থাকলে الحمد لله । আর থাকলে কোন পর্যায়ের? বিঃদ্রঃ ইমামগণ কাগজ-পত্রে ব্যাংকের স্টাফ হওয়া না হওয়ার মধ্যে বিধানগত দিক থেকে কোন পার্থক্য আছে কিনা?? বিস্তারিতভাবে জানানোর অনুরোধ রইল।
بسم الله الرحمن الرحيم
উত্তরঃ ইসলামে সুদকে হারাম করা হয়েছে পাশাপাশি সুদের কাজে সহযোগিতা করাকেও নিষেধ করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ গ্রহীতার উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও উহার সাক্ষীদ্বয়ের উপর লানত করেছেন। (সহীহ মুসলিম)। সুদের টাকা যেমন হারাম তেমনি সুদি কাজে সহযোগিতা্র মাধ্যমে উপার্জনকৃত অর্থও হারাম। তাই সুদি ব্যাংকে যারা চাকুরি করে তাদের উপার্জনও হারাম হয়ে থাকে।
সুতরাং কেউ যদি সুদি ব্যাংক বা এজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ইমামতি করে এবং তাদের বেতন স্টাফরা তাদের হারাম সম্পদ থেকে দিয়ে থাকে তাহলে ইমামের জন্য এ টাকা নেওয়া বৈধ হবে না। তবে হ্যা, যদি টাকা ছাড়া নামাজ পড়ায় কিংবা এক বা একাধিক ব্যক্তি ইমাম সাহেবকে নিজ হালাল উপার্জন থেকে বেতন প্রদান করে থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে ইমাম সাহেবের জন্য এ চাকরি ও উপার্জন উভয়টি বৈধ হবে।
হারাম সম্পদ থেকে বেতন নিয়ে থাকলে কাগজ-পত্রে ব্যাংকের স্টাফ হওয়া না হওয়ার মধ্যে বিধানগত তেমন কোন পার্থক্য থাকে না।
শরয়ী দলীল
أخرج الإمام مسلم في صحيحيه (1598) عن جابر، قال: «لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم آكل الربا، ومؤكله، وكاتبه، وشاهديه»، وقال: «هم سواء
و في الفتاوى الهندية (5/ 342) أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل
প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
১। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৭৮
২। ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪২
৩। ফাতাওয়া শামী ৫/৯৮
৪। ফাতাওয়া খানিয়া (আলা হামেশিল হিন্দিয়া) ৩/৪০০
৫। ফাতাওয়া বাযযাযিয়া (আলা হামেশিল হিন্দিয়া) ৬/৩৬০
৬। ইতরুল হিদায়া ৬৮
৭। আলআশবাহ ওয়ান নাযাইর ৩/২৩৪
৮। আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৩২৯
والله أعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে .
মাওলানা মুহাম্মাদ আরমান সাদিক.
ইফতা বিভাগ .
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া.
সার্বিক তত্তাবধানে
মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা.
প্রধান মুফতী
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
ইমেইল-jamiatulasad@gmail.com
ভালো, জানতে পারলাম
মাছআালাটি বিস্তারিত না । দলিলটা হাদিয়া প্রসঙ্গে কিন্তু মাছআলা হলো উজরতের!
হাদীয়ার উপরেই উজরতকে কিয়াছ করা হয়েছে। আহসানুল ফাতাওয়া দেখুন, সেখানে উযরতের বিষয়টিও উনি একই হুকুমে এনেছেন। যাযাকুমুল্লাহ
ইমামতি করা সুদি লেনদেনের সহযোগী কিভাবে হয়! আরেকটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন!?
ইমামতিকে সহযোগিতা বলা হয়নি। সুদি ব্যাংকের সকলের ইনকাম যে হারাম সেটা প্রথম প্যারাতে সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে আর ২য় প্যারা থেকে ইমামতির বিধান লেখা হয়েছে।
স্যার আমি জানতে চাই প্রায়মারি শেয়ার যদি কোন সুদি কম্পানি না হয় তাহলে কি জায়েজ
না জায়েয কাজ করে এমন কোন প্রতিষ্ঠানের হলে বৈধ হবে না।
ভাল জানতে পারলাম আল্হামদুলিল্হ তবে নিসন্দেহে যার রিক্সা চালান তারা হালাল কাজ করে টাকা ইনকাম করেন। কিন্তু আমার জানার বিষয় হল যে তারা তো বেমি ভাগ সময় হালা উপার্জকারী রিক্সার ভাড়া পায় না বেশি ভাগ লোকেই ব্যাংক ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করে উপার্জন করেন তাহলে এই সমস্ত বেহালার উপর্জনকারী কে রিক্সায় তুলে তাদের হারাম উপর্জনের টাকা রিক্সা চালক ভাড়া হিসেবে নিলে কি হালাল হবে।
মাশা-আল্লাহ এতো সুন্দর একটা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ।