ইমাম মাহদি সম্পর্কে মুসলমানদের আক্বীদা ও গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মিথ্যাদাবি
ইমাম মাহদি সম্পর্কে মুসলমানদের আক্বীদা
কেয়ামতের ছোট-বড় আলামত প্রকাশিত হওয়ার পর পরিশেষে এমন একটি সময় আসবে, যখন কাফের-মুশরিকদের প্রভাব খুব বেশি হবে। প্রায় চতুর্দিকে অমুসলিমদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।
এমন দুর্দশার সময় মুসলমানগণ খলিফা বানানোর জন্য হযরত মাহদিকে তালাশ করতে থাকবেন, এক পর্যায়ে কিছু সংখ্যক নেককার বান্দা মক্কায় বাইতুল্লাহ শরীফে তাওয়াফরত অবস্থায় হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের মাঝখানে তাঁকে পেয়ে চিনে ফেলবেন এবং তাঁর হাতে বায়আত গ্রহণ করে তাকে খলিফা নিযুক্ত করবেন। এ সময় তাঁর বয়স হবে চল্লিশ বছর। এমনকি তাঁর আমলে ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
হযরত ইমাম মাহদির নাম হবে মুহাম্মদ। তাঁর পিতার নাম হবে আব্দুল্লাহ। তিনি হযরত ফাতেমা রা. এর বংশোদ্ভূত অর্থাৎ সাইয়েদ বংশীয় লোক হবেন। মদীনা তাঁর জন্মস্থান হবে। তিনি বাইতুল মাকদিসে হিজরত করবেন। তাঁর দৈহিক গঠন ও আখলাক-চরিত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুরূপ হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তিনি নবী হবেন না এবং তাঁর উপর ওহীও অবতীর্ণ হবে না। তবে তিনি মুসলমানদের খলিফা হবেন এবং আধিপত্য বিস্তারকারী অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনা করবেন। একসময় তাদের দখল থেকে শাম, (সিরিয়া) কনষ্ট্যান্টিনোপল (আরবী নাম: কুসতুনতুনিয়া, বর্তমান ইস্তাম্বুল) হিন্দুস্থান প্রভৃতি অঞ্চল জয় করবেন। তাঁর আমলে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং তাঁর আমলেই হযরত ঈসা আ. অবতরণ করবেন। হযরত ঈসা আ. এর আগমন ও দাজ্জালের ধ্বংস হওয়ার কিছুকাল পর তিনি ইন্তকাল করবেন।
গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মিথ্যাদাবি
সহিহ হাদিসের আলোকে ইমাম মাহদির আগমন, তার পরিচয় এবং তাঁর কর্মপন্থা ও সময়কাল পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। অথচ তৎকালীন বৃটিশ ভারতের কাদিয়ান নামক স্থানে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজদের ষড়যন্ত্রের শিকার গোলাম আহমদ নিজেকে ইমাম মাহদি বলে দাবি করে। আর তাঁর অনুসারীরা সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে ঈমান হারা করার কাজে ব্রত।
অথচ হাদিসের ভাষ্যমতে কেয়ামতের পূর্বে আগমনকারী ইমাম মাহদির সাথে, নামে, বংশে, জন্মস্থানে, কর্মে এবং সময়কালের কোনো দিক থেকেও তার মিল নেই।
অতএব, তাঁর মিথ্যাদাবি সম্পর্কে মুসলমানদের সতর্ক থাকতে হবে।