শায়খুল হাদীস আল্লামা হাতেম আলী দা.বা. এর সান্যিধ্যে
মুফতী হাফীজুদ্দীন
শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী হাতেম আলী ঢাকুবী দা. বা. এ দেশের একজন প্রবীণ আলেম। শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর বিশিষ্ট শাগরেদ। হযরত হাফেজ্জী হুযুর রহ.-এর বিশিষ্ট খলীফা। দীর্ঘদিন যাবত তিনি বুখারী শরীফ দরস দানে নিয়োজিত আছেন। প্রচারবিমুখ এই মহান ব্যক্তির বয়স এখন প্রায় ৯২ বছর। নারায়নগঞ্জ, সোনারগাঁ, পরমেস্বরদী এলাকায় তাঁর জন্ম। তিনি নিজ গ্রামে জামিয়া আরাবিয়া পরমেস্বরদীতে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিলে তিলে গড়ে উঠা মাদরাসাটি এখন দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত উন্নিত হয়েছে। সোনারগাঁয়ে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম হাদীসের দরস প্রদান করেছেন শায়খ শরফুদ্দীন আবু তাওয়ামাহ রহ.। ১৩০০ হিজরীতে তাঁর মৃত্যুর পর সোনারগাঁয়ে হাদীসের দরসের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যায়। আল্লামা হাতেম আলী দা. বা. ১৪০ বছর পর পুনরায় সোনারগাঁয়ে হাদীসের দরসদান শুরু করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘ হায়াত দান করুন। আমীন।
গত ২ জিলহজ ১৪৪১ হিজরী মুতাবিক ২৪ জুলাই ২০২০ ঈ. রোজ শুক্রবার বাদ জুমআ নবীন এক ঝাঁক ওলামাদের নিয়ে ‘যিয়ারতুল আকাবির’ শিরোনামে আল্লামা হাতেম আলী দা. বা.-এর সান্যিধ্যে যাওয়ার তাওফীক হয়। আকবিরের যিন্দা নমুনা এই মহান ব্যক্তিত্বের সাথে আকবিরের তাযকিরা ও ইলমে হাদীস সম্পর্কে আলোচনা হয়। অতপর তাঁর থেকে দুআ নিয়ে আমরা শায়খ শরফুদ্দীন আবু তাওয়ামাহ রহ.-এর কবর যিয়ারত করতে হাজির হই। তিনি অনেক বড় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মাধ্যমে উপমহাদেশে হাদীসের দরসের সূচনা হয়। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, ওলামাদের তত্ত্বাবধান ও নেগরানী না থাকার কারণে তাঁর কবর আজ বিদআতীদের দখলে। যার ফলে তা কবর পাকা করা, সবুজ গিলাফ চড়ানো ও ওরশসহ বিভিন্ন বিদআতী কর্মকা-ের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তবে এ কারণে কবরে যিনি রয়েছেন তিনি দায়ী নন বরং আমাদের অসচেতনতাই এর জন্য দায়ী। আল্লাহ তাআলা শায়খের মাকাম মর্যাদা অনেক উঁচু করে দিন। আমীন।
সফরসঙ্গী ছিলেন- মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ ইয়াহইয়া, মাওলানা আরমান সাদিক, মাওলানা দিলাওয়ার হুসাইন সিরাজী, মাওলানা শামসুদ্দীন নোমান, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আবদুল হালীম, মাওলানা ইমরান, মুহাম্মদ জাহিদ। আল্লাহ তাআলা সকলকে দ্বীনের জন্য কবুল করে নিন।