কাদিয়ানিরা কাফের; এদের ব্যাপারে নিজে সতর্ক হই,অন্যকে সতর্ক করি
ইসলাম আখেরি ধর্ম৷ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখেরি নবী এবং শ্রেষ্ঠ নবী৷ উম্মতে মুহাম্মদী আখেরি উম্মত। আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর বিশ্বের নানা প্রান্তে কিছু ভণ্ড, প্রতারক নবুওয়তের মিথ্যা দাবি করেছিল৷
কিন্তু তাদের এই মিথ্যা দাবি হালে টিকেনি ৷ বরং এরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ফলে তাদের কোনো অনুসারীর অস্তিত্ব দুনিয়ার কোথাও আজ খুঁজে পাওয়া যায় না৷
তবে ভারতের পূর্ব পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ান নামক গ্রামে জন্ম নেয়া বৃটিশদের দালাল, চরম ইতর, মিথ্যুক, লম্পট, ও বিশ্ব প্রতারক মির্জা গোলাম আহমদের অনুসারীদের সংখ্যা দিন দিন কেবল বেড়েই চলছে!!
অবশ্য এর পেছনে একাধিক কারণ নিহিত আছে।
কাজেই এর নেপথ্য কারণগুলি খুঁজে বের করা ঈমানের দাবী এবং সময়ের দাবি।
আমরা শুধুই তাদের কুফরি বিশ্বাসগুলোর কথা জানি, কিন্তু তাদের কর্মকৌশল, ধর্মান্তর করার পলিসি, প্রভাব বিস্তার করার পথ ও পন্থা, সেই সাথে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের মিশন বাস্তবায়নের ভয়াবহ তৎপরতার অনেক কিছুই আমরা জানি না!
আফসোস! আমরা আজ সুখ নিদ্রায় বিভোর, অথচ চোর আর ডাকাতের দল সিঁধ কেটে আমাদের ঘরের সিন্ধুক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আমাদের মহামূল্যবান সম্পদ ঈমান হরণ করছে। আমাদের ভাই-বোনদের কাফের বানাচ্ছে। কিন্তু সেই খবর আমাদের অনেকেরই নেই!!
সুতরাং কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা সম্পর্কে এখনো সচেতন না হলে সামনের দিনগুলো হবে আরো ভয়াবহ ও হতাশার৷
আমাদের মহান পূর্বসূরীগণ কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। তারা লেখনি,বক্তৃতা, বাহাস-মুনাযারা ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে উম্মতকে “কাদিয়ানি ফিতনা” সম্পর্কে অবগত করে গেছেন এবং উম্মাহর রাহবর ওলামায়ে কেরামকে তাদের জিম্মাদারী পালনের ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন করেছেন। তাই আসুন কাদিয়ানীদের ব্যাপারে ব্যাপক পড়াশোনা করি এবং উম্মতের ঈমান হেফাজতের চেষ্টা করি।