ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা
ওয়াসওয়াসা এবং বিভিন্ন পেরেশানী দূর করার সহজ তিনটি উপায় রয়েছে-
১. নামাযে এবং যিকিরের মাঝে যদি কোন ওয়াসওয়াসা আসে, তাহলে আপ্রাণ চেষ্টা করবে তা দূর করার। মনের কুপ্রবঞ্চনা হলে তাহলে সাথে সাথে তা কেটে ফেলবে, সামনে বাড়তে দিবে না। এভাবে করতে থাকলে দুষ্টু শয়তান আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে।
ইরশাদ হচ্ছে,
اِنَّ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا اِذَا مَسَّهُمْ طٰٓئِفٌ مِّنَ الشَّیْطٰنِ تَذَكَرُوْا فَاِذَا هُمْ مُّبْصِرُوْنَ
অনুবাদ: যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদেরকে যখন শয়তানের পক্ষ থেকে কোনো কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে, তখন তারা (আল্লাহকে) স্মরণ করে। ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের চোখ খুলে যায়। (সূরা আরাফ: ২০১)
এই আমল করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ আস্তে আস্তে এই ওয়াসওয়াসা কেটে যাবে।
২. দৈনিক একশত বার সূরায়ে নাস পড়বে, পড়ার সময় অর্থের দিকেও খেয়াল রাখবে। উক্ত দুই আমলের দ্বারা যদি সমস্যার সামাধান হয়ে যায়, তাহলে ভাল।
৩. বিশেষ নামাযের মাধ্যমে এই ওয়াসাওয়াসা দূর করবে। সিরাতে মুস্তাকীমে এই চিকিৎসার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই কিতাব অনেক উপকারী ও বিরল গ্রন্থ। (নিয়মিত যিকির করার দ্বারাও ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যায়।) সুতরাং নিয়মিত যিকির করবে। যিকিরের মাঝখানে কখনো কখনো চাই এক তাসবীহ পড়ে অথবা তার থেকে কমবেশ পরপর এই দুআটি পড়বে।
يَا رَبِّ أَنْتَ مَقْصُوْدِيْ تَرَكْتُ الدُّنْيَا وَالْآخَرَةَ لَكَ أَتْمِمْ عَلَىَّ نِعْمَتَكَ وَارْزُقْنِيْ وُصُوْلَكَ التَّامَّ وَرِضًا لَاسَخَطَ بَعْدَهُ أَبَدًا
অর্থাৎ হে আমার প্রভ‚! তুমিই আমার মূল মাকসাদ, তোমার জন্য দুনিয়া-আখেরাত ছেড়ে দিয়েছি। আমার উপর তোমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করে দাও। এবং তোমার পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে পৌঁছার তাওফীক দান করো। এবং এমন সন্তষ্টি দান করো, যার পর আর কোনো অসন্তুষ্টি নেই। এভাবে আমলকে নিজের জন্য লাজেম করে নাও। (মাকতুব: ১২৬, ১/৩২৩)
শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর মাকতুবাত থেকে নির্বাচিত