পীর মাশায়েখের কাছে বায়আত হওয়া বেদআত নয়
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় হযরত থানভী (রহ.) বলেন, পীর মাশায়েখ জাহেরী ও বাতেনী আমলকে শক্তভাবে ধরার জন্য যে বায়আত করেন যাকে পীর, মুরীদীর বায়আত বলে। এক শ্রেণীর লোকেরা এই বায়আতকে বেদআত বলে । তারা বলে যে, পীর মাশায়েখ যে বায়আত করেন এ বায়আত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত নয়। তারা বলে যে, কাফেরদের ইসলাম গ্রহণের উপর বায়আত করা আর মুসলমানদেরকে জিহাদের উপর বায়আত করাই শুধু হাদীসে বর্ণিত আছে। অথচ অনেক হাদীস থেকে একথা স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে সাহাবাদের থেকে যে বায়আত নিয়েছিলেন তা ইসলামের উপর বায়আত ছিল না। জিহাদের উপরও বায়আত ছিল না। বরং এ বায়আত ছিল নেক আমলকে শক্তভাবে ধরার উপর। সুতরাং পীর মাশায়েখ যে বিষয়ের উপর বায়আত করেন এটাই হলো সে বায়আত। এধরণের বায়আত অনেক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
হযরত থানভী রহ. বুখারী শরিফের হযরত উবাদা ইবনে সামেত রা. এর হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের থেকে যে বায়আত নিলেন এটা ইসলামের উপর বায়আত ছিল না, জিহাদের উপরও বায়আত ছিল না, বরং এটা ছিল গোনাহ ছাড়া এবং নেক কাজ শক্তভাবে ধরার উপর বায়আত। পীর মাশায়েখ এ বায়আতই করে থাকেন। সুতরাং এটাকে ছোট করে দেখা বা অস্বীকার করা মূর্খতার পরিচয়।